অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

১মাস ২০ দিন পর কর্মস্থল প্রথম আলোতে ফিরেছেন সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম

0
.

পেশাগত কাজে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে শাররীক মানষিক নির্যাকনের শিকার ও মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার হয়ে জামিন পাওয়া প্রথম আলোর জৈষ্ঠ্য সাংবাদিক তার কর্মস্থল প্রথম আলোতে ফিরেছেন।

আজ বুধবার কাজে যোগদানের আনন্দঘন মুহূ্র্তগুলো ফেসবুকে শেয়ার করেছেন প্রথম আলোর সিনিয়র রিপোর্টার রোজিনা ইসলাম।
তিনি লিখেছেন, ৫০ দিন পর আমার প্রিয় কর্মস্থল প্রথম আলোতে এসেছি। আমার প্রাণের সহকর্মীদের কাছে ফিরে এসেছি। আমি স্বস্তি বোধ করছি। আমার সহকর্মীদের ভালোবাসায় আমি আবেগ তাড়িত। আমি কৃতজ্ঞ। আমি আনন্দিত। আমি শান্তি বোধ করছি। কারণ আমি কাজে ফিরেছি।

রোজিনা লিখেন, নিজের কম্পিউটারের সামনে বসে প্রথমেই আপনাদের সবার মুখ আমার চোখের সামনে ভেসে উঠেছে। ১৭ বছর ধরে যারা নানা তথ্য-সহযোগিতা দিয়ে আমাকে একজন সাংবাদিক হিসেবে গড়ে উঠতে সহায়তা করেছেন; সবাইকে আমি শ্রদ্ধার সঙ্গে মনে করছি। আপনাদের কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

.

স্ট্যাটাসে তিনি আরো বলেন, দুঃসহ দিনগুলোতে আমি এবং আমার পরিবারের পাশে, আমার প্রতিষ্ঠান প্রথম আলোর পাশে ছিলেন সারা দেশের সাংবাদিক সমাজ, সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন, বিভিন্ন গণমাধ্যমের সহকর্মীরা। পাশাপাশি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক সংগঠন, প্রতিষ্ঠান, সংস্থা, পাঠক, বন্ধু, শুভানুধ্যায়ী ব্যক্তি-মানুষ যে সহমর্মিতা নিয়ে দাঁড়িয়েছেন তাতে আমি, আমরা অভিভূত, আপ্লুত, কৃতজ্ঞ। এই ঋণ শোধ হবার নয়।

তিনি লিখেছেন, জাতিসংঘ,দেশি-বিদেশি বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা, সাংবাদিকদের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা,দেশি-বিদেশি গণমাধ্যম ও খ্যাতিমান সাংবাদিকদের উদ্বেগ, প্রতিক্রিয়া খারাপ সময় পার করতে আমাকে সাহস জুগিয়েছে। আপনারা আমার ও প্রথম আলোর ভালোবাসা নিন।

গত ১৭ মে পেশাগত দায়িত্ব পালনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যান প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলাম। সেখানে প্রায় ছয় ঘণ্টা শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের পর তাঁকে শাহবাগ থানায় পাঠানো হয়। সে রাতেই মামলা দেখিয়ে পরদিন তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।

রোজিনা ইসলামকে আটক, নির্যাতন, মামলা ও কারাগারে প্রেরণের ঘটনায় দেশের সাংবাদিক সমাজ সরব হয়। তাঁর মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও তাঁর ওপর নির্যাতনকারীদের বিচারের দাবিতে দেশজুড়ে সাংবাদিকেরা প্রতিবাদ ও আন্দোলন করেছেন। গত ২৩ মে রোজিনা ইসলামের জামিন হয়। ২৩ মে বিকেলেই গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান। এরপর তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।