অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

‘সরকার চাইলে রাশিয়া থেকে ২ কোটি টিকা এনে দিতে পারি’: ডা. জাফরুল্লাহ

0
.

ভারতীয় প্রতিষ্ঠান সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে বেক্সিমকো ফার্মসিউটিক্যালস যেভাবে করোনার টিকা নিয়ে এসেছিল, একইভাবে রাশিয়ায় তৈরি টিকা দেশে আনার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে চেয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। সরকার চাইলে এক সপ্তাহের মধ্যেই রাশিয়া থেকে ২ কোটি টিকা এনে দিতে পারেন ডা. জাফরুল্লাহ।

রাশিয়া থেকে করোনাপ্রতিরোধী ‘স্পুতনিক-ভি’টিকা আনার বিষয়ে গত ২১ এপ্রিল ‘কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনপ্রাপ্তি উৎস ও সংগ্রহসংক্রান্ত কোর কমিটি’র আলোচনায় উল্লেখ করা হয়েছিল, রাশিয়ার স্পুতনিক-ভি টিকার দাম ১০ থেকে ২৭ ডলার। এই টিকার কার্যকারিতা ৯১ দশমিক ৬ শতাংশ। এরপর থেকে রাশিয়ার যে প্রতিষ্ঠান টিকা উৎপাদন করে তাদের সঙ্গে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় আলোচনা চলে যাচ্ছে। নতুন করে ফের রাশিয়ার টিকা আনার ক্ষেত্রে জাফরুল্লাহ ভূমিকা রাখতে চাচ্ছেন।

জাফরুল্লাহর দাবি, রাশিয়ার যে প্রতিষ্ঠান করোনাপ্রতিরোধী টিকা উৎপাদন করছে, এরসঙ্গে তার যোগাযোগ রয়েছে। আর গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ওই প্রতিষ্ঠানের লোকাল এজেন্ট।

এর আগে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী ভারতীয় প্রতিষ্ঠান সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে বাংলাদেশে টিকা আনার ক্ষেত্রে লোকাল এজেন্ট বেক্সিমকো ফার্মা। সেখান থেকে করোনার ৩ কোটি ৪০ লাখ টিকা আনার সময় বেক্সিমকোকে সম্পৃক্ত করায় ব্যাপক সমালোচনা করেছিলেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। সে সময় তিনি বলেছিলেন, কোনো তৃতীয় পক্ষের বদলে সরকারের উচিত নিজেরা সরাসরি টিকা নিয়ে আসা। তবে সরকারের সেই পদক্ষেপে যায়নি তৃতীয় পক্ষ হিসেবে বেক্সিমকো ফার্মার ওপর নির্ভর করে টিকা দেশে আনা হয়। কিন্তু চুক্তি অনুযায়ী সেরাম ইনস্টিটিউট সম্পন্ন টিকা সরবরাহ না করেই বন্ধ করে দেয়। এতে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। এবার রাশিয়া থেকে টিকা আনার ক্ষেত্রে তৃতীয় পক্ষ হিসেবে জাফরুল্লাহ চৌধুরী নিজে দায়িত্ব নিতে চেয়েছেন।

জাফরুল্লাহ চৌধুরী আরও বলেন, সরকার যদি রাজি হয়, তাহলে এক সপ্তাহের মধ্যেই ২ কোটি টিকা এনে দিতে পারি। চীন থেকে সরকার ১০ ডলারে নিচ্ছে, আর আমি বলেছি আমি ৮ ডলারে সেটা ঢাকায় পৌঁছে দেব। কারণ এই মুহূর্তে মানুষ করোনা আক্রান্তে মরছে। সবকিছু ঠিক থাকলে দ্রুতই টিকা দেশে নিয়ে আসতে পারবেন।