অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

কারাগারে জুম মিটিং-এ ৫ ঘণ্টা কথা বলেছেন ডেসটিনির রফিকুল

0
.

বহুল আলোচিত ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীন কারাগার থেকেই জুম অ্যাপসের মাধ্যমে মিটিং করতেন। শেয়ারহোল্ডারদের নিয়ে এ অ্যাপসের মাধ্যমে মিটিংয়ের পাশাপাশি নতুন কোম্পানি চালুর বিষয়েও সভা করতেন তিনি।

গত ১ জুলাই বিভিন্ন গণমাধ্যমে ‘কারাগারে বসে জুম মিটিং করেন ডেসটিনির রফিকুল’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ হয়, যা নিয়ে দেশজুড়ে শুরু হয় তোলপাড়।

এরপর বিস্ময়কর এ কাণ্ড তদন্তে গঠন করা হয় কমিটি। সেই কমিটি তদন্তকালে এ সংক্রান্ত প্রমাণও পেয়েছে। রফিকুল আমীন নিজেও তা স্বীকার করেছেন। কারা অধিদপ্তর গঠিত তদন্ত কমিটি গত ১০ জুলাই আইজি প্রিজন্স বরাবর ৩৮ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে।

এতে উল্লেখ করা হয়েছে, ডেসটিনির এমডি রফিকুল আমীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের প্রিজন সেলে বসে ৫ দিন জুম মিটিংয়ে প্রায় ৫ ঘণ্টা কথা বলেছেন। তার বিরুদ্ধে কারাবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে তদন্ত রিপোর্টে।

এদিকে পরবর্তীকালে এহেন বেআইনি কা-ের যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সে লক্ষ্যে তদন্ত রিপোর্টে ১৯ দফা সুপারিশ তুলে ধরেছে কমিটি। এগুলোর মধ্যে যথাযথ দায়িত্ব পালনে গাফিলতি ও ব্যর্থতার কারণে ১২ কারারক্ষীকে সাময়িক বহিষ্কারের পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, এক কারারক্ষী ও ৪ ডেপুটি জেলারকে কঠোরভাবে সতর্ক করা, অসুস্থ বন্দিদের উন্নত চিকিৎসায় কাশিমপুরে ২০০ শয্যার হাসপাতাল স্থাপন, গুরু ও লঘুদ-প্রাপ্ত কারারক্ষীদের হাসপাতালের ডিউটি না দেওয়া এবং বন্দিদের দীর্ঘদিন হাসপাতাল বা প্রিজন সেলে ভর্তি না রাখার সুপারিশ করা হয়েছে।

কারা অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগের কারা উপমহাপরিদর্শক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলামকে সভাপতি, নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারের জেলার শাহ রফিকুল ইসলামকে সদস্য সচিব ও মুন্সীগঞ্জ জেলা কারাগারের জেল সুপার মো. নুরন্নবী ভূঁইয়াকে সদস্য করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। এ কমিটি গঠনের পাশাপাশি ১৭ কারারক্ষীর বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে আইনিব্যবস্থা গ্রহণ করে কারা কর্তৃপক্ষ, ৪ কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত এবং অবশিষ্ট ১৩ কারারক্ষীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে সে সময় জানায় কারা অধিদপ্তর।

অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগের কারা উপমহাপরিদর্শক ও তদন্ত কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম জানান, তার নেতৃত্বাধীন কমিটি গত ১০ জুলাই তদন্ত রিপোর্ট আইজি প্রিজন্স বরাবর দাখিল করেছেন। এ রিপোর্টের আলোকে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। তিনি আরও জানান, তাদের দায়দায়িত্ব পালনে কার কতটা গাফিলতি ছিল, তাও তারা তদন্ত রিপোর্টে তুলে ধরেছেন।

রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রকাশিত বিষয়ের তদন্তে গঠিত কমিটি গত ২ থেকে ৮ জুলাই পর্যন্ত টানা ৭ দিন কেরানীগঞ্জস্থ ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার, শাহবাগের বিএসএমএমইউ হাসপাতালে উপস্থিত হয়ে ঘটনা তদন্তপূর্বক সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটনে সংশ্লিষ্ট বন্দি ও কর্মচারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন এবং সংগৃহীত অডিও-ভিডিও রেকর্ডও যাচাই করে দেখেছেন।

সাময়িক বরখাস্তকৃত প্রধান কারারক্ষী ইউনুস আলী মোল্লা, মীর বদিউজ্জামান, মো. আ. সালাম ও মো. আনোয়ার হোসেনের বক্তব্য পর্যালোচনা করে তদন্ত কমিটি নিশ্চিত হন- ডেসটিনির এমডি রফিকুুল আমীন গত ১১ এপ্রিল থেকে ২ জুলাই পর্যন্ত এ হাসপাতালের প্রিজন্স অ্যানেক্সের সেলে ভর্তি ছিলেন। ৩ জুলাই বিকালে তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। সেদিনই বিকালে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে তাকে ফেরত পাঠানো হয়। অপকর্ম সংঘটনের সময়কালে পর্যায়ক্রমে তারা ৩ জনই প্রিজন সেলের ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু জুম মিটিংয়ের বিষয়ে তারা জানতে পেরেছেন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশের পর। তদন্ত কমিটি এ বিষয়ে অধিকতর যাচাই-বাছাই করে নিশ্চিত হয়, তাদের কারও না কারও কর্তব্য পালনকালে দায়িত্বে অবহেলা ছিল এবং এ জন্যই এমন হীনকা- ঘটেছে।

প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ২৬ কারা কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রেণিপ্রাপ্ত বন্দির জবানবন্দি পর্যালোচনা করে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণ হয়েছে যে, রফিকুল আমীন চিকিৎসার্থে সর্বশেষ গত ১১ এপ্রিল থেকে ২ জুলাই পর্যন্ত বিএসএমএমইউ হাসপাতালের প্রিজন সেলে ভর্তি ছিলেন। ভর্তি থাকাবস্থায় রেকর্ডভিত্তিক জুমে মিটিং অনুষ্ঠিত হয়।

প্রতিবেদনের তথ্যানুয়ায়ী, প্রথম মিটিংটি হয় গত ৮ মে মধ্যরাতেরও পর। রাত ২টা ১২ মিনিটে শুরু হওয়া এ মিটিংটি ছিল ২৯ মিনিট ৪৫ সেকেন্ড দীর্ঘ। দ্বিতীয় মিটিং শুরু হয় ২৩ মে রাত ১২টা ৪৩ মিনিটে। এর ব্যাপ্তি ছিল ১ ঘণ্টা ২২ মিনিট ৪৩ সেকেন্ড। তৃতীয় মিটিং হয় ২৮ মে রাত ১০টা ৭ মিনিটে, যার ব্যাপ্তি ছিল ৫২ মিনিট ৩৩ সেকেন্ড। চতুর্থটি হয় ১ জুন রাত ১২টা ৩৬ মিনিটে, যা চলে ১ ঘণ্টা ১০ মিনিট ৫ সেকেন্ড। পঞ্চম মিটিংটি চলে ৫৫ মিনিট ৩৭ সেকেন্ড, যা শুরু হয় ৪ জুন রাত ১০টা ১০ মিনিটে।

প্রাপ্ত রেকর্ড মোতাবেক গত ৮ মে থেকে ৪ জুন পর্যন্ত ৫ দফায় জুম মিটিং করেন রফিকুল আমীন। এর মাধ্যমে নতুন কোম্পানি ডিটু-কে প্রতিষ্ঠিত করা ও বিনিয়োগকারীদের তার জামিনে মুক্তি বা খালাসের বিষয়ে আশ্বস্ত করেন। তিনি তার মনোনীত শেয়ারহোল্ডারদের সঙ্গে ভিডিও মিউট করে জুম মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করেছেন মর্মে কমিটির নিকট প্রতীয়মান হয়, যা কারাবিধি অনুযায়ী অপরাধ।

তদন্ত কমিটির রিপোর্টে আরও বলা হয়, রফিকুল আমীন কারাবিধি ৭০৪(১) ও ৭০৫(৩)(৭)(৮)(৯)(৪৩) ধারা লঙ্ঘন করেছেন। কারা কর্তৃপক্ষের অজান্তে অবৈধভাবে মোবাইল ফোন সংগ্রহ করত নিজ হেফাজতে রেখে বাইরের কোম্পানির শেয়ারহোল্ডারদের সঙ্গে রাত্রিকালীন জুম মিটিংয়ে যুক্ত হয়ে নতুন কোম্পানি ডিটু-কে প্রতিষ্ঠার জন্য ওই কোম্পানির শেয়ারহোল্ডারদের সঙ্গে কথোপকথন করে অন্যায় করেছেন, বিধায় তার বিরুদ্ধে কারাবিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করা হলো।

দায়িত্ব পালনে অবহেলা ও ব্যর্থতার জন্য প্রধান কারারক্ষী মীর বদিউজ্জামান, ইউনুস আলী মোল্লা, আনোয়ার হোসেন, সহকারী প্রধান কারারক্ষী বিল্লাল হোসেন, এনামুল হক, সরোয়ার হোসেন, জসিম উদ্দিন, কারারক্ষী আ. খালেক, মেহেদী হাসান, রিফাত হোসেন, ফারুক হোসেন ও জয়নাল আবেদীনকে চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করত সকলের বিরুদ্ধে কারাবিধি ১ম খ-ের ১৯১(৩),১৯২(১)(২)(৩) ও ১৯৩ বিধিভঙ্গ করার অপরাধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সুপারিশ করেছে। পাশাপাশি তদন্ত কমিটি প্রধান কারারক্ষী আবু সাঈদ অবসর-উত্তর ছুটিতে গমন করায় তাকে কঠোরভাবে সতর্ক করার জন্য সুপারিশ করেছে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, পরিক্রমার (পরিদর্শন) দায়িত্বে নিয়েজিত ৪ ডেপুটি জেলারের পরিদর্শন শেষ হওয়ার আগে বা পরে জুম মিটিংগুলো অনুষ্ঠিত হয়। তাদের পরিক্রমাকালীন কোনো জুম মিটিং অনুষ্ঠিত হয়নি, বিধায় তাদের ভবিষ্যতের জন্য কঠোরভাবে সতর্ক করার সুপারিশ করা হয়েছে। যে ৪ ডেপুটি জেলারকে সতর্ক করার জন্য বলা হয়েছে,

তারা হলেন: খন্দকার মো. আল মামুন, তানিয়া জামান, মো. ফেরদৌস মিয়া ও মো. মনিরুল হাসান।

তদন্ত কমিটি ভবিষ্যতে এ ধরনের হীনকর্ম রোধে ১৯ দফা সংবলিত একটি সুপারিশমালাও তুলে ধরেছে প্রতিবেদনে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে, বিএসএমএমইউ হাসপাতালসহ যে সকল হাসপাতালে প্রিজন সেল/অ্যানেক্স রয়েছে, সেগুলোর করিডরসহ গুরুত্বপূর্ণ সব পয়েন্টে রেকর্ডিং সুবিধাসংবলিত সিসি ক্যামেরা স্থাপন, দেশের সকল জেলা সদর হাসপাতালে ও মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পৃথক প্রিজন সেল স্থাপন, প্রিজন অ্যানেক্সগুলোতে মোবাইল ফোন জ্যামারের প্রযুক্তি স্থাপন, নিয়মিত সিনিয়র জেল সুপার/জেল সুপার/জেলারদের বিএসএমএমইউ হাসপাতালসহ যে সকল হাসপাতালে প্রিজন সেল/অ্যানেক্স রয়েছে, সে সকল প্রতিষ্ঠানে বা যেখানে কারাবন্দিরা চিকিৎসাসেবা পেয়ে থাকে, সে সকল প্রতিষ্ঠানে আকস্মিক পরিদর্শনের বিষয়টি নিশ্চিত করা, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারসহ কারা বিভাগের জনবল বৃদ্ধি করা, বিএসএমএমইউ হাসপাতালসহ দেশের সকল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি বন্দিদের চিকিৎসাকালে যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিতে ডেপুটি জেলারদের ডিউটি অফিসার হিসেবে দায়িত্ব¡ প্রদান করা এবং সেখানে ডিউটি অফিসারের জন্য একটি বসার কক্ষ নির্মাণের সুপারিশ করা হয়েছে।

এ ছাড়া প্রিজন সেলগুলোতে ল্যান্ডফোনের সংযোগ রাখা এবং একমাত্র ডিউটি অফিসার/ইনচার্জ যেন একটি সরকারি বাটন মোবাইল ফোন (অ্যান্ড্রয়েড বা আধুনিক প্রযুক্তিহীন) ব্যবহার করতে পারে সে ব্যবস্থা গ্রহণ করা, সার্ভিস বই দেখে একাধিক গুরুদ- ও লঘুদ-প্রাপ্ত কারারক্ষী তথা গার্ডিং স্টাফদের হাসপাতাল ডিউটি প্রদানে নিরুৎসাহিত করা, ৫ বছরেরও কম সময় কর্মরত কারারক্ষীদের প্রিজন সেলে ডিউটিতে নিযুক্ত না করা, প্রিজন সেলের ওয়ার্ডগুলো মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে তল্লাশি করা, আধুনিক জ্যামার বসিয়ে মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক জ্যামিং নিশ্চিত করা, বন্দিকে দীর্ঘদিন হাসপাতালে বা প্রিজন সেলে ভর্তি না রেখে চিকিৎসাসেবার ফলোআপ দিয়ে যত দ্রুত সম্ভব কারাগারে ফেরত পাঠানো, মোবাইল ফোন নিয়ে চিকিৎসক বা পরিদর্শকদের প্রিজন সেলে বা বন্দি যেখানে বাস করে, সেখানে কক্ষের ভেতর না যাওয়া, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২, গাজীপুরে অবস্থিত ২০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল চালু করে সেখানে রেখে অসুস্থ বন্দিদের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী পদায়ন নিশ্চিত করা, কারারক্ষী ও কারা কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগের সময় কারাবিধি ১৬২ অনুসরণ করত পুলিশ ভেরিফিকেশনে যথাযথ চরিত্র যেন উঠে আসে সে বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য পুলিশ বাহিনীকে অনুরোধ করা, প্রিজন সেলের বারান্দার গেট তালাবদ্ধ না করে ডিউটিরত কারারক্ষী যেন ভর্তিরত বন্দিকে সার্বক্ষণিক নজরদারি করতে পারে, সে জন্য কক্ষে তালাবন্ধ করত করিডর ডিউটি করে বন্দি ওয়াচ করা, প্রিজন্স সেলের দক্ষিণ পার্শ্বের হোল ও গ্রিলের খোলা অংশ শিট দিয়ে বন্ধ করার ব্যবস্থা গ্রহণ এবং প্রিজন্স সেল/প্রিজন্স অ্যানেক্সে সিসি ক্যামেরাসমূহ অ্যাপসের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও জেল সুপার এবং জেলার কর্তৃক মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সুপারিশ করা করেছে তদন্ত কমিটি।

কারা অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেন, বিনিয়োগকারীদের টাকা ফেরত দিতে কারাগারে বসে ডেসটিনির এমডি রফিকুল আমীনকে কোম্পানি কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি দিয়েছিলেন উচ্চ আদালত। তবে সেটি হওয়ার কথা ছিল কারা কর্তৃপক্ষ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের উপস্থিতিতে। কিন্তু তিনি সেটি অনুসরণ না করে গোপনে জুম মিটিং করেছেন। এটি কারাবিধির লঙ্ঘন।