অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

‘চাকরিজীবী লীগ’ গঠন করে আ.লীগ থেকে বিতাড়িত হেলেনা জাহাঙ্গীর

0
.

চাকরিজীবী লীগ নামে, সংগঠনের নামের সঙ্গে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নাম যুক্ত করে নতুন সহযোগী সংগঠন গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন ব্যবসায়ী হেলেনা জাহাঙ্গীর। এ ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি।

এদিকে তার এমন কর্মকাণ্ডে বিব্রত খোদ আওয়ামী লীগেরই শীর্ষস্থানীয় নেতারা। এরই সূত্র ধরে শনিবার (২৪ জুলাই) হেলেনা জাহাঙ্গীরের সদস্য পদ আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক উপকমিটি থেকে বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি বলেন,’ একটা উপ-কমিটিতে থাকলে কাজ করার জন্য সবার সঙ্গে আলোচনা করতে হয়। তার কর্মকাণ্ডে উপ-কমিটি বিব্রত। তাই তাকে সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে।’

কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ছিলেন হেলেনা জাহাঙ্গীর।‌ কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ম. রুহুল আমিন বলেন, ‘বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার জন্য গত মাসেই তাকে কারণ দর্শানোর জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ওই চিঠির জবাব দেননি তিনি। এজন্য নির্দিষ্ট সময় পর এটা স্বাভাবিকভাবেই অব্যাহতি হয়ে গেছে। কাজেই বলা যায়, বর্তমানে তিনি ওই কমিটিতে আর নেই।’

ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে হেলানা জাহাঙ্গীর নিজেকে চাকরিজীবী লীগের সভাপতি দাবি করেন এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মাহবুব মনিরের নাম উল্লেখ করেন। এমন ঘটনায় ফেসবুক জুড়ে সাধারণ মানুষের ভেতরে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।

ফেসবুক ব্যবহারকারী তানজির আহমেদ সিহাব পোস্টে কমেন্ট করেন, ‘আওয়ামী লীগের মতো একটা পুরোনো ঐতিহ্যবাহী দলক। আর সেই আওয়ামী লীগকে নিয়ে আপনারা যা শুরু করেছেন এটা হাস্যকর। এখন যারা নব্য আওয়ামী লীগার তারা কখনো বুঝবে না, আওয়ামী লীগ যখন বিরোধী দল ছিল সেই সময় কত ত্যাগ ছিল আমাদের।’

আরেকজন ফেসবুক ব্যবহারকারী আসিফুর রহমান বলেন, ‘লোক হাসাচ্ছেন, আওয়ামী লীগকে ডোবাচ্ছেন। আজকে আওয়ামী লীগের খারাপ কিছু হলে এসব ভুঁইফোড়া সংগঠনের কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে না।’

এদিকে হেলেনা জাহাঙ্গীরকেও কমেন্টে প্রায়ই মারমুখী হতে দেখা যায়। তবে হেলেনা জাহাঙ্গীরের অকস্মাৎ এমন ঘোষণায় মূল সংগঠনের নেতাকর্মীরা যে বিব্রত এটি তাদের উদ্ধৃতি থেকেই বোঝা যায়।