অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

চকরিয়ায় স্ত্রীর হাত-পা ভেঙে দেয়ার পর হাসপাতালে আরেক দফা হামলা

0
.

কক্সবাজারের চকরিয়ায় পরকীয়া আড়াল করতে ও যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূর ওপর বর্বর হামলার অভিযোগ উঠেছে পাষণ্ড স্বামী নুরুল হকের বিরুদ্ধে। গৃহবধূকে বাড়িতে একবার মারধর করে হাত-পা ভেঙে দেওয়ার পর হাসপাতালে ভর্তি থাকাবস্থায় আরেক দফা হামলা চালায় নুরুল।

নির্যাতনের শিকার গৃহবধূর নাম রোকেয়া সুলতানা মেরী (২২)। উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের নতুনপাড়ায় ঘটেছে অমানবিক এ ঘটনা।

অভিযোগে জানা গেছে, গত ১৮ জুলাই থেকে নির্যাতন শুরু করে হাত-পা ভেঙে দিয়ে বাড়িতে আটকে রাখে পাষণ্ড স্বামী ও শাশুড়ি রশিদা বেগম। মারধরের চিৎকার শোনার পর অবশেষে প্রতিবেশীরা মেরীর বাপের বাড়িতে খবর দেন। এতে মেরীর ভাই সাদেকুর রহমান স্থানীয় চেয়ারম্যান নুরুল আমিনকে সঙ্গে নিয়ে ২৪ জুলাই নুরুল হকের বাড়ি থেকে মেরীকে উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

এর পর রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে হাসপাতালের রোগী কক্ষে ঢুকে ৫-৬ জন সন্ত্রাসী ভাড়া করে এনে আবারও হামলা চালায় নুরুল। সেখানে তারা মেরী, তার ভাই ও বোনসহ কয়েকজনকে আহত করেছে বলে জানান পার্শ্ববর্তী অন্যান্য রোগী ও প্রত্যক্ষদর্শী।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি চকরিয়া থানা পুলিশকে তাৎক্ষণিকভাবে জানালে থানার উপপরিদর্শক আবু সায়েম ও উপপরিদর্শক মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ হাসপাতালে উপস্থিত হলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।

উল্লেখ্য, খুটাখালী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড উত্তর ফুলছড়ি গ্রামের আবু তালেবের মেয়ে রোকেয়া সুলতানা মেরীর বিয়ে হয় চার বছর আগে। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময়ে স্বামী নুরুল হক এবং শাশুড়ি রশিদা বেগম যৌতুক দাবি করে মারধর করত বলে জানান স্থানীয়রা।

এ ঘটনায় মেরীর বড় ভাই মাস্টার বশির আহমদ বাদী হয়ে নুরুল হকসহ দুজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৭-৮ জনকে আসামি করে থানায় এজাহার জমা দিয়েছেন।

এ বিষয়ে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ইন্সপেক্টর তদন্ত) মো. জুয়েল ইসলাম জানান, ঘটনার বিষয়ে একটি লিখিত এজাহার পেয়েছি। দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।