অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

এবার ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত

0
.

মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দিন দিন বেড়েই চলেছে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে সবাইকে টিকার আওতায় নিয়ে আসতে চাইছে সরকার। তারই অংশ হিসেবে আগামী ৭ আগস্ট থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকা কার্যক্রম শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত

আজ মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) দুপুরে করোনা নিয়ন্ত্রণে করণীয় নিয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, শুধু লকডাউন দিয়ে আমরা এই সংক্রমণ রোধ করতে পারব না। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে, মাস্ক পরতে হবে। পাশাপাশি টিকা দেওয়ার বিষয়ে আমরা বেশি জোর দিচ্ছি, এ কারণে ইউনিয়ন পরিষদে টিকা কেন্দ্র স্থাপন করছি। যেখান থেকে ইউনিয়নের সমস্ত লোকজন এসে টিকা নিতে পারবে। যারা এনআইডি কার্ড নিয়ে আসবে তারাই টিকা দিতে পারবে।

তিনি বলেন, আমরা আগামী ৭ আগস্ট থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকাদান কর্মসূচি শুরু করছি। আমরা চাচ্ছি যারা পঞ্চাশোর্ধ্ব মহিলা এবং পুরুষ আছে তারা যেন টিকা কেন্দ্রে এসেই টিকা দিতে পারে। টিকা যখন আমাদের কাছে আরও বেশি আসবে তখন আমরা ওয়ার্ড পর্যায়ে যেতে পারব।

এসময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান উপস্থিত থেকে বলেন, আমরা শুধু নিরাপত্তা বাহিনী ও আমাদের সরকারি কর্মকর্তাদেরই টিকার আওতায় নিয়ে আসব না। আমাদের জনপ্রতিনিধি, আমাদের ধর্মীয় নেতারা, আমাদের সমাজের নেতারা, ইউনিয়ন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান, ওয়ার্ডের নেতারা সবাইকে এই টিকাদান কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করা হবে। নাহলে আমরা এই ভাইরাস থেকে পরিত্রাণ পাবো না এটাই এই সভায় আলোচনায় বেরিয়ে এসেছে।

লকডাউন বাড়ছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, লকডাউন বাড়ছে কিনা সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত লকডাউন থাকবে। এই সংক্রমণ অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও কমবে। আমরা এ জন্য এই টিকাদান কর্মসূচি জোরদার করব। আমাদের কাছে যে টিকা আসছে সেই টিকা দিয়েই আমরা এই কার্যক্রম চালিয়ে যাব। পরবর্তীতে যে টিকা আসবে সেগুলোও আমরা পর্যায়ক্রমে ব্যবহার করব।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ফ্রন্টলাইনে যারা কাজ করছেন তাদের টিকা দানে সব সময় অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। আমাদের এখানে সেনাবাহিনী, নেভি, এয়ারফোর্স, কোস্টগার্ড, বিজিবি, পুলিশ, আনসারসহ সব বাহিনীর সবাইকে টিকা দেওয়া হবে। এছাড়া তাদের পরিবারের সবাইকে টিকার আওতায় আনা হবে। ফ্রন্টলাইনে যারা কাজ করেন তারা ১৮ বছরের উপরে যারা তাদের সবাইকে এই টিকার আওতায় নিয়ে আসা হবে। তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যার যে এরিয়া সেই এরিয়াতে সংশ্লিষ্ট বাহিনী তদারকি করবেন।

এসময় মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, জেলা, ইউএনও, চেয়ারম্যান, মেম্বার, মেয়র সবাইকে পরিষ্কাভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে তাদের নিজ এলাকাতে অসহায় মানুষদের ত্রাণের আওতায় আনার জন্য। তারা লিস্ট করে সব ত্রাণ দিয়ে দিচ্ছে।

মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে এই বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, পুলিশ প্রধান, বিজিবি প্রধানসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।