অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

হাটহাজারী বাস স্টেশন সংলগ্ন সড়কের করুণ দশা

0
.

আকাশে কড়া সূর্য। তারপড়েও পানিতে সড়ক টইটুম্বুর। চারিদিকের নোংরা পানি জমে থাকে সড়কে। আর বৃষ্টিতে কোমর সমান পানি থাকে। নোংরা পানি ডিঙ্গিয়ে স্থানীয় জনসাধারনকে যাতায়াত করতে হয় প্রতিনিয়ত। বছরের পর বছর জ্বলেনা কোন সড়ক বাতি। ড্রেনে পচা দূর্ঘন্ধ যুক্ত ময়লা পানিতে ডিম পেড়েছে মশা মাছি।

এটি কোন অজো পাড়া গায়ের গল্প না। চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলা ও পৌরসভার প্রাণকেন্দ্রে অদুদিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন (হাটহাজারী বাস স্টেশন) কবির আহমেদ মিয়াজী সড়কের চিত্র এটি।

.

বুধবার বিকেল এবং রাতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কবির আহমেদ মিয়াজী সড়কে নোংরা পানি জমে আছে। নোংরা-দূর্ঘন্ধ যুক্ত পানি ডিঙ্গিয়ে স্থানীয়দের নামাজের জন্য মসজিদে যেতে দেখা যায়। সড়কের পাশের ড্রেনে নোংরা পানি জমে ডিম ছেড়েছে মশা-মাছি। পানি চলাচলের কোন পথ না থাকায় বলতে গেলে ড্রেন অনেকটাই বন্ধ। ফলে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুকিতে এ এলাকার মানুষ।

এ সড়কে চলাচলকারী স্থানীয়রা জানান, সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়কে হাটু পরিমান পানি উঠে যায়। ড্রেন বন্ধ থাকায় বৃষ্টি হওয়া ছাড়াও এ সড়কে ময়লা দূর্ঘন্ধ যুক্ত পানি জমে থাকে। পানি ডিঙ্গিয়ে তাদের যেতে হয় স্কুল-কলেজ, অফিস, মসজিদ সহ হাটে বাজারে।

এ সড়কের পাশ ঘেষে রয়েছে হাটহাজারী জামেয়া অদুদিয়া সুন্নিয়া ফাজিল মাদ্রাসা। প্রতিদিন শতশত ছাত্র ছাত্রী এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে। এছাড়াও নালার দূর্ঘন্ধের কারণে স্বাস্থ্য ঝুকিতে এ শিক্ষা প্রতিষ্টানের ছাত্র-ছাত্রী-শিক্ষক-কর্মচারীরা। স্থানীয় কয়েকজন জানান, কার্পেটিং করা সড়কটি পানি জমে থাকার ফলে অযত্ন অবহেলায় নষ্ট হয়ে যাওয়ার পথে। তারা দ্রুত স্থায়ী ভাবে ড্রেনটি পার্শ্ববর্তী খাল পর্যন্ত সম্প্রসারানের দাবি জানান।

এ এলাকার বাসিন্দা সাংবাদিক এম নাজমুল ইসলাম বলেন, “আমার একটি ম্যাসেজ পাওয়ার ১০ মিনিটের মধ্যেই হাটাহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার অসুস্থ্য হওয়া সত্বেও কল বেক করে সন্ধ্যায় পৌরসভার টিম প্রেরন করেন এবং খুব দ্রুত এর সমাধানের আশ্বাস দেন। সরকারি উর্ধতন কর্মকর্তাদের এ ধরনের আচরনের ফলে জনগন আরো সহজে হয়রানি মুক্তভাবে সেবা পাবে। তবে এ এলাকাকে দ্রুত উন্নত ড্রেনেজ সিস্টেমের আওতায় আনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি’’।

এ সড়কে সরেজমিনে বিভিন্ন সময়ে এসে দেখা যায়, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে যাতায়াত করেন এখানকার জনসাধারন। অনেকদিন ধরেই জ্বলেনা কোন সড়ক বাতি। ফলে ঘুটঘুটে অন্ধকার থাকা এ সড়ক বাসষ্টেশনের খুব কাছে হওয়ায় অন্ধকারাচ্ছন্ন এ সড়কটিকেই বেছে নিয়েছে মাদক কেনাবেচার সাথে সংশ্লিষ্টরা।