অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

জিয়াউর রহমান জাতিকে নতুন করে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখিয়েছেন: শামীম

0
.

বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেছেন, বিএনপির ইতিহাস হচ্ছে স্বাধীনতার ইতিহাস। বিএনপি প্রতিষ্টার এই ৪৩ বছরে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ইতিহাস। দেশ ও জাতিকে অস্তিত্ব প্রদানের ইতিহাস। বিএনপি স্বাধীনতার ঘোষক সেক্টর কমান্ডার ও বীর উত্তম জিয়াউর রহমানের দল। ১৯৭১ সালে শহীদ জিয়া যে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন, তা জনগণকে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে উদ্বুদ্ধ করেছিল। তিনি মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে ১৯৭৫ সালে সিপাহী জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে ৭ নভেম্বর যখন জিয়াউর রহমানকে দেশের মানুষ দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দেয়, তখন তিনি আমাদের নতুন করে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। জাতিকে আধুনিক ও স্বনির্ভর বাংলাদেশ নির্মাণের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ একটি সমৃদ্ধ ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা উচু করে পথচলা শুরু করেছিল।

তিনি তৃণমূল পর্যায়ে নেতাকর্মীদের সংগঠিত করে সংগঠনকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে তারেক রহমানের নেতৃত্বে আগামী দিনের আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত থাকার জন্য আহবান জানান।

তিনি বুুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের মাঠে নগরীর আওতাধীন ১৫ থানা ও ৪৩ ওয়ার্ড় বিএনপির নেতৃবৃন্দের সাথে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার হরণ করে একদলীয় বাকশাল কায়েম করেছে। তাদের হাতে দেশ ও স্বাধীনতা নিরাপদ নয়। তারা ভোট চুরি করে ক্ষমতায় এসে মানুষের সাংবিধানিক সকল অধিকার ক্ষুন্ন করেছে। এর থেকে উত্তোরণের জন্য দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আপোষহীন নেতৃত্বকে সামনে রেখে দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভোট ডাকাত ও তাদের দোসরদের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানান।

.

সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, জিয়াউর রহমানকে নিয়ে এখন আবোল-তাবোল বকছেন অবৈধ সরকারের মন্ত্রীরা। এক মন্ত্রী চট্টগ্রামে এসে বলে গেলো, জিয়া জাদুঘর থাকতে পারবে না চট্টগ্রামে? আমাদের প্রশ্ন কেন থাকতে পারবে না? জিয়াউর রহমান এই চট্টগ্রামের মাঠি থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন, এই চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে তিনি শহীদ হয়েছেন। জিয়াউর রহমানের রক্ত মিশে আছে এই বীর চট্টলার মাটিতে। চট্টগ্রামেই থাকবে জিয়া জাদুঘর ও জিয়াউর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত সব স্থাপনা। এই চট্টগ্রামে এসে যদি কোনো অনির্বাচিত সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা আবোল-তাবোল বকে তাহলে বীর চট্টলার জনগণ তাদের শক্ত হাতে প্রতিরোধ করবে। তাই জিয়াউর রহমানের বিষয়ে মন্তব্য করার আগে ভেবে চিন্তে কথা বলার জন্য তিনি পরামর্শ দেন।

এসময় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, জিয়াউর রহমান এ দেশের মাটি ও মানুষের হৃদয়ের মাঝে মিশে আছেন। আওয়ামীলীগ যতই ষড়যন্ত্র করুক জিয়াউর রহমান নাম মুছে ফেলতে পারবে না। জিয়াউর রহমান দেশ পরিচালনার সময়ে যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন, পরিবর্তন ও গণতন্ত্র চর্চা হয়েছে তাতে তিনি সারাদেশের মানুষের মাঝে মৃত্যুর পরও অমর হয়ে আছেন। জিয়াউর রহমানের পথ ধরে তারেক রহমানও এখন অন্যতম একজন জনপ্রিয় নেতা। যার কারণে শেখ হাসিনা সরকারের সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের শিকার জিয়া পরিবার।

বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দীন মজুমদার বলেন, কোনো সত্য চাপা রাখা যায় না। জিয়াউর রহমানকে নিয়ে যারা এখন বিতর্ক তৈরির চেষ্টা করছেন, তারা ইতিহাস তৈরি নয়, তারা আমার-আপনার দৃষ্টি সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। কারণ দেশে একটা সরকার আছে, যার কোনো ভিত্তি নেই।

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার রাজনীতিকে রাজনীতি দিয়ে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়ে বাকশালী রাজত্ব কায়েম করে প্রশাসনযন্ত্রকে বিএনপির বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়েছে। বাকশাল আর প্রশাসন যন্ত্র এক হয়েই যখন বিএনপির আকাশচুম্বি জনপ্রিয়তায় তিল পরিমাণ কমাতে ব্যর্থ হয়েছে, তখনই তারা নতুন করে জিয়াউর রহমানের লাশ নিয়ে কল্পকাহিনী তৈরি করছে। জিয়াউর রহমানকে নিয়ে কোনো কল্পকাহিনী এদেশের মানুষ বিশ্বাস করে না।

এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক মো. মিয়া ভোলা, এড. আবদুস সাত্তার, সৈয়দ আজম উদ্দীন, এস এম সাইফুল আলম, এস কে খোদা তোতন, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, ইসকান্দর মির্জা, আহবায়ক কমিটির সদস্য জয়নাল আবেদীন জিয়া, হারুন জামান, হাজী মো. আলী, এড. মুফিজুল হক ভূইয়া, ইকবাল চৌধুরী, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, এস এম আব্লু ফয়েজ, আশরাফ চৌধুরী, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, আবুল হাসেম, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, মনজুর আলম চৌধুরী মনজু, কামরুল ইসলাম, থানা বিএনপির সভাপতি মন্জুর রহমান চৌধুরী, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, মো. আজম, হাজী মো. সালাউদ্দিন, মো. সেকান্দর, হাজী হানিফ সওদাগর, ডা. নুরুল আবছার, আবদুল্লা আল হারুন, এম আই চৌধুরী মামুন, থানা সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, মো. শাহাবুদ্দীন, জাহিদ হাসান, হাজী বাদশা মিয়া, শরিফ উদ্দীন খান, মনির আহমদ চৌধুরী, নূর হোসেন, জাহাঙ্গির আলম, রোকন উদ্দিন মাহমুদ, আবদুল কাদের জসিম, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আকতার খান, নবাব খান, এস এম মফিজ উল্লাহ, মনজুর আলম মনজু, মো. হারুন, মো. বেলাল, হাজী মো. ইলিয়াছ, আলাউদ্দিন আলী নূর, হুমায়ুন কবির সোহেল, জমির আহমদ, ফারুক আহমদ, রফিক চৌধুরী, মো. আজম উদ্দিন, মো. ইলিয়াছ, সাইফুল আলম, খাজা আলাউদ্দিন, এড. আবুল কাশেম মজুমদার, রাসেল পারভেজ সুজন, আবদুল্লাহ আল সগির, এস এম ফরিদুল আলম, ফয়েজুল ইসলাম, এস এম জামাল উদ্দীন জসিম, এম এ মুছা বাবলু, ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক এস এম আবুল কালাম আবু, ফিরোজ খান, সিরাজুল ইসলাম মুন্সী, হাসান ওসমান চৌধুরী, মো. শফি উল্লাহ, আশরাফ খান, নাসিম আহমদ, হাজী আবু ফয়েজ, এম এ হালিম বাবলু, হাজী এমরান উদ্দীন, মো. মহিউদ্দীন, ইয়াকুব চৌধুরী নাজিম, সাব্বির আহমদ, আনোয়ার হোসেন আরজু, মনজুর মিয়া, জিয়াউর রহমান জিয়া, আবু সাঈদ হারুন, মো. হাসান, মনজুর কাদের প্রমুখ।