অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

চবিতে ছাত্রলীগের উপগ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৪

0
.

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগের বিবাদমান উপগ্রুপের মধ্যে মধ্যে আবারও মারামারির ঘটনা ঘটেছে। অভ্যন্তরীণ কোন্দলকে কেন্দ্র করে গতকাল বুধবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। এতে চারজন আহত হয়েছে।

বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আলাওল হলে এ ঘটনা ঘটে। পরে রাত ২টার দিকে প্রক্টরিয়াল বডি পুলিশের সহযোগিতায় পরিস্থিতি শান্ত করে।

আহতরা হলেন, হিসাববিজ্ঞান বিভাগের ১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের মো. জাহিদ, সংস্কৃত বিভাগের ১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের মো. মুজাহিদ, রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের ১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের সাব্বির আহমেদ ও আরবি বিভাগের ১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের সাহিল কবির। এরমধ্যে জাহিদ মাথায় আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হওয়ায় তাকে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টার থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. টিপু সুলতান বলেন, জাহিদ নামে এক শিক্ষার্থী মাথায় গুরুতর আঘাত নিয়ে আমাদের এখানে চিকিৎসা নিতে আসে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঠিয়ে দিয়েছি।

এদিকে এ ঘটনার পর শিক্ষার্থী মারধর, কর্মচারীকে হত্যার হুমকি ও শিবির সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে সংস্কৃত বিভাগের শিক্ষার্থী মো. মুজাহিদকে বিজয় গ্রুপ থেকে পিটিয়ে বের করে দিয়েছে একই গ্রুপের জুনিয়র কর্মীরা।

বিজয় গ্রুপের নেতা ও ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ ইলিয়াস বলেন, জামায়াতের আমির জাকির হোসেনের ছেলে মুজাহিদ অনেকদিন ধরে ছাত্রলীগে ঘাপটি মেরে শিবিরের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে আসছিল। তার বাবা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী। ছাত্রলীগের বলিষ্ঠ ভূমিকায় জামায়াত শিবির যেখানে নিশ্চিহ্ন, সেখানে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী সেজে শিবিরের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতেছে।

তিনি আরও বলেন, গত কয়েকমাস তার অবৈধ কার্যকলাপ আমরা প্রত্যক্ষ করছি। গ্রুপে অভ্যন্তরীণ কোন্দল সৃষ্টির পাঁয়তারায় লিপ্ত ছিল মুজাহিদ। সর্বশেষ সে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে ছাত্রলীগের ছেলেদের গতিরোধ করে। তাই আজকে ছাত্রলীগের ছেলেরা তাকে প্রতিহত করেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতিতে চারজন আহত হয়েছেন। আমরা গিয়ে আহতদের হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছি। পরিস্থিতি শান্ত আছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।