অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

যুবককে পিটিয়ে হত্যা: সড়ক দুর্ঘটনা বলে দাফন, অবশেষে কবর থেলে লাশ উত্তোলন

0
.

নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর সেনবাগ মৃত্যুর ৪ মাস ১৮ দিন পর ময়না তদন্তের জন্য বেলাল হোসেন (১৯) নামে এক যুবকের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা করেছে।

আজ সোমবার (৪ আক্টোবর ) দুপুর ২টার দিকে নোয়াখালী জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট মংচিংনু মারমার উপস্থিতে লশটি কবর থেকে উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

এদিকে লাশ উত্তোলনের খবর পেয়ে শতশত এলাকাবাসী ওই বাড়িতে ভিড় জমায়। এসময় পরিবারের সদস্যদের আহাজারিতে হৃদয় বিদায়ক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়।

একাধিক সূত্র জানায়, সেনবাগের শায়েস্তানগর গ্রামের মুজা মিয়া হাজ্বী বাড়ি প্রকাশ (বাঁশ আলা বাড়ির) আবুল গোফরানের সঙ্গে একই এলাকার বেলাল হোসেনের ছেলে সাইফুল ইসলাম, তোফাজ্জাল হোসেনের ছেলে আরাফাত হোসেন বাবু ও পার্শ্ববর্তী বেগমগঞ্জ উপজেলার লাউতলী গ্রামের আমিন উল্লাহ ছেলে মোশারফ হোসেনে সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ ছিল। এর জের ধরে আসামিরা পরিকল্পিত ভাবে আবদুল গোফরানের ছেলে বেলাল হোসেনকে চলতি বছরের (১৬ মে) বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর তারা পরিকল্পিত ভাবে সেনবাগ উপজেলার নোয়াখালী মহাসড়কের আহম্মদিয়া ব্রিকফিল্ডের সামনে নিয়ে মাথায় আঘাত করে বেলালকে হত্যা করে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পরবর্তীতে তারা বেলাল মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে বলে প্রচার করে। পরে তড়িঘড়ি করে দাফন সম্পন্ন করে। এরপর নিহতের বড়ভাই মোফাজুল হোসেন প্রকাশ উজ্জল বাদি গত ২২আগষ্ট নোয়াখালী বিচারিক আদালতে সাইফুল ইসলাম, আরাফাত হোসেন বাবু ও মোশারফ হোসেন সহ ৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৩/৪জনকে আসামি করে সিআর মামলা নং ১৮৪২ দায়ের করে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এরপর সেনবাগ থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নুর হোসেন অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম ও মোশারফ হোসেনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করে। এরপর সেনবাগ থানা পুলিশ বেলাল মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্নয়ে কবর থেকে লাশ উত্তোলনের আবেদন করলে আদালত কবর থেকে লাশ উত্তোলনের আদেশ দেন। এরপর আজ সোমবার দুপুরে নোয়াখালী জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মংচিংনু মারমার উপস্থিতে মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।

সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বাতেন মৃধা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে পরবর্তীতে এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।