অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

“দুই মেয়েকে একসঙ্গে ধর্ষণ করে ওসি প্রদীপ, এখন বিয়েও হচ্ছে না”

0
.

“তিনি আদালতকে জানান, ওসি প্রদীপ তাকে, স্বামী এবং দুই মেয়েকে আসামি করে ইয়াবার মিথ্যা মামলা দেন। একই সঙ্গে দুই মেয়েকে ধর্ষণ করেন। এখন মেয়েদের বিয়েও হচ্ছে না”

কক্সবাজারের টেকনাফে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় পঞ্চম দফায় সাক্ষ্য গ্রহণের প্রথমদিনে রবিবার (১০ অক্টোবর) আসামির আইনজীবীর জেরার সময় আদালতে কান্নায় ভেঙে পড়েন সাক্ষী বেবী বেগম। এ সময় আদালত তাকে পানি পান করে স্বাভাবিক হওয়ার কথা বললে ওসি প্রদীপের মতো মানুষের সামনে পানি পান করতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি।

টেকনাফ থানায় কর্মরত থাকাকালীন ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে দুই মেয়েকে ধর্ষণের বর্ণনা দেন এই সাক্ষী। তিনি আদালতকে জানান, ওসি প্রদীপ তাকে, স্বামী এবং দুই মেয়েকে আসামি করে ইয়াবার মিথ্যা মামলা দেন। একই সঙ্গে দুই মেয়েকে ধর্ষণ করেন। এখন মেয়েদের বিয়েও হচ্ছে না।

দুপুরে আদালত এক ঘণ্টার জন্য বিরতি দিলে আইনজীবীরা আদালত থেকে বের হন। এ সময় বাদীপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর এসব তথ্য জানান।

আরও খবর: ভয়ঙ্কর এক ওসির নাম প্রদীপ কুমার দাশ

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি ফরিদুল আলম জানান, রবিবার সকাল সোয়া ১০টায় জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে এ বিচারকাজ শুরু হয়। শুরুতে সাক্ষী বেবী বেগমকে আইনজীবীরা জেরা করেন।

তিনি জানান, জেরা শেষে আদালতে ২১তম সাক্ষী সেনা কর্মকর্তা লে. আরফিন সাক্ষ্য দেন। এরপর শুরু হয় জেরা। প্রথমদিনে ছয়জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। তারা সবাই সেনাবাহিনী ও বিজিবির সদস্য। এ নিয়ে মোট ২৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হলো।

এর আগে ২৩ থেকে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত মামলার প্রথম দফার সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। এতে সাক্ষ্য দেন মামলার বাদী ও সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস এবং ২ নম্বর সাক্ষী ঘটনার সময় সিনহার সঙ্গে একই গাড়িতে থাকা সাহেদুল সিফাত। পরে দ্বিতীয় দফায় চারদিনে চারজন প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। তৃতীয় দফায় তিনদিনে আটজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। মামলায় চতুর্থ দফায় দু’দিনে ছয়জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। পঞ্চম দফায় প্রথম দিনে একুশতম সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হলো। এ মামলায় আরও ৬৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।

কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে মামলার ১৫ আসামিকে প্রিজন ভ্যানে কড়া পুলিশ পাহারায় আদালতে আনা হয়। গত বছর ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।