অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

দিয়াজের গলায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে!

0
diaz20161120221604
.

ছাত্রলীগে কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর গলায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক।

আজ রবিবার দুপুরে চট্টগ্রামের ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজের দ্বিতীয় দফায় ময়নাতদন্ত শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা. সোহেল মাহমুদ এ তথ্য জানান। তবে এ সম্পর্কে এখনই চূড়ান্ত কোনো মন্তব্য করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন তিনি।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তিন সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড এ ময়নাতদন্ত করে।

এর আগে দুপুর দেড়টার সময় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ফরনেসিক বিভাগে তার দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত চলছে বলে নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির চট্টগ্রাম জোনের এএসপি অহিদুর রাহমান।

তিনি বলেন, দিয়াজ ইরফানে দ্বিতীয় ময়না তদন্ত ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ফরনেসিক বিভাগের প্রধানাসহ তিন সদস্যের উপস্থিতিতে আছেন। ময়নাতদন্ত শেষ হলে সন্ধ্যার দিকে তাকে চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হবে এবং রাতের মধ্যেই দাফন সম্পূর্ণ করা হবে।

গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে হাটহাজারীর উপজেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় মসজিদের কবরস্থান থেকে দিয়াজের লাশ তোলা হয়। লাশ উত্তোলনের সময় দিয়াজের পরিবার, হাটহাজারীর থানার এস আই মঞ্জু এবং দিয়াজ ইরফানের সহপাঠীরা উপস্থিত ছিলেন।

গত ৬ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) চট্টগ্রামের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিবলু কুমার দে’র আদালত দিয়াজ ইরফানের পুনরায ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে লাশ উত্তোলনের নির্দেশ দেন সিআইডিকে।

উল্লেখ্য: গত ২০ নভেম্বর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২নং গেট এলাকার নিজ বাসা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠান। ২৩ নভেম্বর ময়নাতদন্ততের রিপোর্টে বলা হয় দিয়াজ আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু দিয়াজ ইরফানের পরিবারের দাবি দিয়াজকে খুন করে ঝুলিয়ে রেখেছে।

গত ২৪ নভেম্বর দিয়াজ ইরফানের মা জাহেদা আমিন চৌধুরী বাদী হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর আনোয়ার হোসেন ও শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সহ দশ জনের বিরুদ্ধে আসামী করে আদালতে মামলা দায়ের করেন। পরে আদালত এ মামলা তদন্তের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দেন।