অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

পুলিশের উপস্থিতিতে জেএমসেন হলের পুজা মন্ডপে হামলার অভিযোগ

0
.

কোরআন অবমাননার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম আন্দরকিল্লায় আয়োজিত মিছিল থেকে জেএম সেন হল প্রাঙ্গণে পূজামণ্ডপে একদল দুস্কৃতকারী লাঠিসোটা নিয়ে হামলার অভিযোগ উঠেছে।

আজ শুক্রবার দুপুরে আন্দরকিল্লার কাছে পুলিশের উপস্থিতিতে জেএমসেন হলের বাইরে দুর্বৃত্তরা পুজা উপলক্ষে টাঙ্গানো ব্যানার পেষ্টুন ছিড়ে ফেলে ইটপাটকেল ছুঁড়ে। তবে এতে মণ্ডপের ভেতরে ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানায়।

ঘটনার প্রতিবাদে বেলা আড়াইটা থেকে মহানগরের পূজামণ্ডপগুলোর প্রতিমা বিসর্জনের কর্মসূচি থাকলেও তা স্থগিত করে।

এদিকে পুজা মন্ডপে হামলার প্রতিবাদে আগামীকাল শনিবার বেলা ১২টা পর্যন্ত চট্টগ্রামে হরতালের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদ। হামলার পর বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্তের নেত্বতে শত শত হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন জেএমসেন হল রোড় ও আন্দরকিল্লায় জড়ো হয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত অবস্থান করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। সে সমাবেশ থেকে হামলার প্রতিবাদে এবং নিরাপদে মুর্তি বিসর্জন দেয়ার দাবিতে শনিবার বেলা ১২টা পর্যন্ত প্রতিমা বিসর্জন বন্ধ রাখারও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। বেলা ১২টা পর্যন্ত চট্টগ্রামে হরতালের পালনের ডাক দেয়।

.

এদিকে স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, জনপ্রতিনিধি ও রাজনীতিকরা প্রতিমা বিসর্জনে নিরাপত্তা নিশ্চিতের বিষয়ে আশ্বস্ত করার পর এ সিদ্ধান্ত নেন পূজা উদযাপন পরিষদের নেতারা।

চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি আশীষ ভট্টাচার্য্য জানান, জেএম সেন হলের পূজামণ্ডপে হামলার ঘটনায় আমাদের প্রতিবাদ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা প্রতিমা বিসর্জনে নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করায় মহানগরের অধীন থানা পূজা কমিটিকে প্রতিমা বিসর্জন শুরু করার জন্য বলে দেওয়া হয়েছে। জেএম সেন হলের প্রতিমা বিসর্জন করা হবে নেভাল-২ এলাকায়।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা অনুযায়ী, আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদে জুমার নামাজ শেষে একদল লোক মিছিল দিয়ে জেএমসেন হলের দিকে এগুতে থাকে। এসময় মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের দেওয়া বেস্টনি তারা ভেঙে ফেলে। এঘটনায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ভাঙচুর চালিয়ে আশপাশের দেয়ালে টাঙ্গানো পূজার ব্যানার ছিঁড়ে ফেলা হয়।

.

এদিকে হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে সিএমপির কোন কর্মকর্তা কথা বলতে রাজি হননি।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নেজাম উদ্দীন বলেন, ভাই ঝামেলায় আছি পরে কথা বলবো বলেই ফোন কেটে দেন।

ঘটনাস্থলে দায়িত্বে থাকা সিএমপি উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) বিজয় বসাকের কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।