থানায় পাঁচদিন আটক রেখে টাকা না পেয়ে সিএনজি চালককে ডাকাতি মামলায় চালান!
আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:
দাবীকৃত ৪৫ হাজার টাকা না দেয়ায় সিএসপির কোতোয়ালী থানায় এক সিএনজি চালককে ৫দিন আটকে রেখে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে।
টাকা না পাওয়ায় নিরঅপরাধ এক সিএনজির ড্রাইভারকে ৫ দিন থানায় আটক করে নির্যাতন করে অবশেষে ডাকাতি মামলায় চালান দিয়েছে কোতোয়ালী থানা পুলিশ। হয়রানীর শিকার চালকের নাম আব্দুল মন্নান, সে চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারা উপজেলার হাইলধর গ্রামের মৃত আবুল কালাম দিপ্তীর পুত্র।
সিএনজি চালকের পরিবারিকসূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার ৭ ডিসেম্বরের আনোয়ারা উপজেলার হাইলধর গ্রামের সিএনজি অটোরিক্সা চালক আব্দুল মন্নানকে নগরীতে সিএনজি চালিয়ে আসছে। গত বুধবার নিউ মার্কেট মোড় থেকে হাইলধর গ্রামের জহিরুল ইসলামের ছেলে মাসুদ তাকে রিজার্ভ ভাড়া করে অলংকার নিয়ে যায়। পথিমধ্যে সে তার একবন্ধুকে সিএনজি তুলে নেয়, পরবর্তী সিআরবিতে এসে তাকে নামিয়ে দেয় মাসুদ। নামিয়ে দিয়ে সিএনজি নিয়ে সিনেমা প্যালেস এলাকা হয়ে পুনরায় নিউ মার্কেট যাওয়ার পথে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ সিগন্যাল দিলে সিএনজি চালক আবদুল মন্নান সিএনজি থামাতেই পালিয়ে যায় যাত্রী মাসুদ।
চালক আব্দুল মন্নান কিছু বুঝে উঠার আগেই তাকে পুলিশ আটক করে কোতোয়ালী থানায় নিয়ে যায়। তখন দুপুর ১২.৩০ মিনিট। পরের দিন বৃহস্পতিবার পরিবার খবর পেয়ে থানায় ছুটে এসে জানতে পারে তাকে ছিনতাই মামলায় আটক করা হয়েছে। পুলিশের কাছে মামলার কপি চাইলে কোতোয়ালী থানা পুলিশের উপ-পুলিশ পরিদর্শক এসআই শামসুল আলম তা দিতে অস্বীকার করে ৮২ হাজার টাকা ছিনতাই করেছে জানিয়ে ৪৫ হাজার টাকায় আপোসে আসার কথা বলে আটক মন্নানের পরিবারকে, তাও ২ ঘন্টার মধ্যে। তা দিতে অপরগতা প্রকাশ করলে তাকে ইয়াবা মামলায় চালান দিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন শামসুল আলম। অল্প সময়ের মধ্যে এত টাকা জোগাড় করতে গিয়ে নানা ধার দেনা করে শনিবার ২০ হাজার টাকা নিয়ে থানায় হাজির হয় পরিবার। কিন্তু এস আই শামশুল ২০ হাজার টাকা নিতে আপত্তি করে আরো ২০ হাজার টাকা দাবি করে। তা জানতে পেরে মিড়িয়া কর্মীরা কোতোয়ালী থানার ওসি জসিম উদ্দীনকে ফোন করলে তিনি তা এড়িয়ে যান।
মিডিয়া কর্মীরা ফোন কররৈ সে আবদুল মন্নানকে ছেড়ে দিতে ডিউটি অফিসারকে বললে ডিউটি অফিসার মামলা হয়ে গেছে বলে জানান।
পওে ওসি জসিম উদ্দীন ভুক্তভোগী মন্নানের পরিবারকে থানা থেকে শনিবার বিকেলে চালান দিলে কোর্ট থেকে জামিন নিতে বলেন।
আজ রবিবার মামলার কপি হাতে পেয়ে দেখা যায়, ভুক্তভোগী আব্দুল মন্নানকে ২নং নম্বর আসামি করে মোট ৪টি ডাকাতি ও অস্ত্র মামলায় চালান দিয়ে দেয় পুলিশ।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, গত শুক্রবার রাত আনমানিক ১২টার সময় গোপন সংবাদের ভিক্তিতে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণপাশ্বে খালী জায়গায় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ১৩/১৪ জন ডাকাতির প্রস্তুতিকালে তাদের আটক করা হয় বলে উল্লেখ করে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আবুল মন্নানের স্ত্রী শেলি আকতার বলেন, পুলিশ ৪৫ হাজার টাকা চেয়ে ছিলো, টাকা দিলে ছেড়ে দিবে বললে, না হয় ইয়াবা দিয়ে চালান কওে দিবে বললে টাকা জোগাড় করার চেষ্টা করি আমরা। কিন্তু আমরা এত টাকা একসাথে জোগাড় করার মতো সামর্থ আমাদের না থাকায় জোগাড় করতে বিলম্ব হয়েছে, তাই পুলিশ আমার স্বামীকে ডাকাতি মামলায় জেলে দিয়ে দিয়েছে। উনি জেলে থাকলে আমাদের অনাহারে থাকতে হবে। আপনারা আমার স্বামীকে এনে দিন বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তিনি।
এদিকে ঘটনার ব্যাপারে কোতোয়ালী থানার ওসি জসিম উদ্দিন জানান, মন্নান সিএনজি চালকের আড়ালে মূলত ছিনতাইকারী। তার সংঘবদ্ধ চক্র রয়েছে। তাকে শনিবার আটক করা হয়েছে। তার স্বীকারোক্তিতে আরো কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।
৪৫ হাজার টাকা দাবীর বিষয়টি অস্বিকার করেন তিনি। বলেন, ৫দিন আগে নয় গতকারই তাকে আটক করা হয়েছে। এবং আদালতে চালাস করা হয়েছে।
police ki kore.!
Ha ha ha ha এইটা আইনের শাসন।
আমরা কার কাছে ন্যায় পাবো কার কথা বিশ্বাস করবো।এগুলো কি হচছে দেশে।এভাবে চললে তো একদিন আসবে পুলিশ বাংলাদেশকেও অস্ত্র মামলায় আটক করে চালান দিবে তখন তো পুরু বাংলাদেশেই চাদাঁবাজ হবে।