অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

প্রেমিকাকে গলা কেটে হত্যার পর মারা গেলেন আটক প্রেমিকও

0
.

টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গায় সুমাইয়া আক্তার (১৬) নামে এক স্কুলছাত্রীকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় আটক প্রেমিক মনির (১৭) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাতাপাতালে তার মৃত্যু হয়।

মনিরের খালা রোজিনা বেগম জানান, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা গেছে। লাশ মর্গে নেওয়া হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে বাড়িতে নেওয়া হবে। বুধবার রাত সাড়ে ৭টায় তাকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আটক করে র্যা ব।

টাঙ্গাইলের র্যা্ব-১২ সিপিসি-৩-এর কোম্পানি কমান্ডার লে. আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, সুমাইয়াকে হত্যার পর মনির আত্মহত্যার চেষ্টা করে। সে উপজেলার মশাজান গ্রামের মেহের আলীর ছেলে। উপজেলার পালিমা গ্রামে সুমাইয়ার বাড়ি। সে এলেঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

তিনি আরও জানান, বুধবার দিনভর গোয়েন্দা তথ্য ও বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ এবং হত্যার আগের নানা ঘটনা পর্যালোচনা করে নিশ্চিত হওয়া গেছে এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে মনির জড়িত। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি মনিরের। ছুরি হাতে নানা কসরত করা বেশ কয়েকটি ভিডিও ক্লিপ সংগ্রহ করা হয়েছে। সুমাইয়ার ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সুমাইয়ার সঙ্গে মনিরের দুই বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। দুই মাস আগে মনিরের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে। বিষয়টি মনির সহ্য করতে পারছিল না। ঘটনার পাঁচ দিন আগে সুমাইয়াকে কানে আঘাত করে আহত করে মনির। মনির বখাটে ও মাদকাসক্ত হওয়ায় সুমাইয়া তাকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে। সেই থেকে ক্ষুব্ধ হয় মনির। পরিকল্পিতভাবে সে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। এজন্য হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার আগের রাতে প্রচুর পরিমাণ মাদক গ্রহণ করে মনির। নানা তথ্য-উপাত্ত ও ভিডিও ফুটেজ থেকে তা নিশ্চিত হওয়ার দাবিও করেছেন তিনি।

তিনি জানান, এ ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত কিনা তাও তদন্ত করা হচ্ছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে সুমাইয়াকে হত্যা করে সেও আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করে। বুধবার সকালে কোচিংয়ে যাওয়ার সময় এলেঙ্গার কলেজপাড়া এলাকার খোকনের নির্মাণাধীন বাড়ির নিচতলার সিঁড়িকোঠায় সুমাইয়াকে ছুরিকাঘাতে হত্যার পর আত্মহত্যার চেষ্টা করে মনির। সুমাইয়ার মরদেহ ও আহত অবস্থায় মনিরকে উদ্ধার করে পুলিশ।