অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

সীতাকুণ্ডে দেশের প্রথম স্থাপিত বিশ্বনাথ মন্দির উদ্বোধন কাল

0
.

সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে শংকর মঠ ও মিশনে আজ আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে ৮দিন ব্যাপী শতবর্ষ উদযাপন উৎসব শুরু হচ্ছে।  একই স্থানে উদ্বোধন হবে বাংলাদেশের প্রথম স্থাপিত বিশ্বনাথ মন্দিরও।

এ উপলক্ষে আজ সোমবার দুপুরে শঙ্কর মঠ প্রাঙ্গনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কর্মসূচীর বিশদ বর্ণনা দেন মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ এবং শতবর্ষপূর্তি উৎসব উৎযাপন পরিষদের সভাপতি স্বামী তপনানন্দ গিরি মহারাজ।

লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, শংকর মঠ ও মিশন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর কেশব কুমার চৌধুরী। তিনি জানান, মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া ৮ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার মধ্যে রয়েছে শ্রী শ্রী বিশ্বনাথ মন্দিরের দ্বারোদঘাটন,বিশ্বনাথ শিব প্রতিষ্ঠা ও রুদ্রাভিষেক, স্বামী স্বরূপানন্দ গিরি মহারাজের ১৫০ তম ও স্বামী জ্যোতিশ্বরানন্দ গিরি মহারাজের ১১৩ তম আবির্ভাব দিবস উদযাপনসহ নানা আয়োজন। তারা জানান, সীতাকুণ্ড চন্দ্রনাথধামস্থ ব্যাসকুণ্ডের পশ্চিম পাশের পাহাড়ে ১৯২১ সালে শংকর মঠ প্রতিষ্ঠা করেন স্বামী স্বরূপানন্দ গিরি মহারাজ।

তার শিষ্য গীতা হিমাদ্রি স্বামী জ্যোতিশ্বরানন্দ গিরি মহারাজের আন্তরিক প্রচেষ্টায় শংকর মঠের সাথে মিশন সংযুক্ত করে শংকর মঠ ও মিশনকে বিশ্বব্যাপী বিকশিত করে তোলেন। এছাড়া স্বামী জ্যোতিশ্বরানন্দ গিরি মহারাজ বিশ্ব মানবের কল্যাণে ১৯৮০ সালে শংকর মঠে অখন্ড গীতা পাঠ চালু করেন। প্রতিষ্ঠা করেছেন সংস্কৃত কলেজ, অনাথ আশ্রম, বৃদ্ধাশ্রম, গীতা শিক্ষা কেন্দ্র, আধ্যাত্বিক যোগ কেন্দ্র, দাতব্য চিকিৎসালয় ও গো-পালন কেন্দ্র। সংবাদ সম্মেলনে সীতাকুণ্ড তীর্থের শাস্ত্রীয় গুরুত্ব উপস্থাপন করেন চবির সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কুশল বরণ চক্রবর্তী। সংবাদ সম্মেলনে তপনানন্দ গিরি মহারাজসহ অন্যান্যরা শঙ্কর মঠের উদ্যোগে বাংলাদেশের ১ম বিশ্বনাথ মন্দির স্থাপনের প্রসঙ্গে বলেন, আগে বিশ্বনাথ দর্শনে এ দেশের ভক্তদের ভারতের কাশীতে যেতে হতো। এখন থেকে তারা এই চন্দ্রনাথ ধামে এসেও বিশ্বনাথ দর্শন করতে পারবেন। দেবাধিদেব মহাদেবের আশীর্বাদ পাবেন ভক্তরা।

৮দিনের এ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন পর্বে অতিথি থাকবেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড.হাছান মাহমুদ এমপি, ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জি, এড.রানা দাশগুপ্ত,স্বামী পুর্ণাত্মানন্দজী মহারাজ,স্বামী পরমানন্দ সরস্বতী মহারাজ, প্রফেসর ড.জ্যোতি প্রকাশ দত্ত, প্রফেসর ড.গণেশ রায়,প্রফেসর ড.তাপসী রায় ও রুনা ব্যানার্জী। অনুষ্ঠানে ৭দিন দেশের বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পীরা ধর্মীয় ও আধ্যাত্নিক সঙ্গীত পরিবেশন করবেন।