অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

চট্টগ্রামে শুল্কমুক্ত চালানে আনা বিপুল পরিমাণ প্রসাধনী ও ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী জব্দ

0
.

চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে শুল্কমুক্ত সুবিধা নিয়ে মিথ্যা ঘোষণায় আনা বিপুল পরিমাণ প্রসাধনী ও ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী জব্দ করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। জব্দকৃত মালামালের মধ্যে জায়নামাজ, প্রসাধনী সামগ্রী ছাড়াও রয়েছে খাদ্যদ্রব্যসহ ব্যাগেজ ভর্তি ৭৫ ধরনের পণ্য।

কাস্টমস কর্মকর্তারা জানায়, শুল্কমুক্ত কম্বলের কাপড় আমদানির ঘোষণা দিয়ে জব্দকৃত পণ্য আমদানীর মাধ্যমে সরকারের ১৭ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করেছিল পাবনার এমজিএল কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান।

আজ শনিবার (১৭ নভেম্বর) চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্মকর্তারা গণমাধ্যমকে বিষয়টি জানায়।

.

জব্দকৃত এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে, ১ হাজার ৫৫১টি কম্বল, ৪৮৩টি জায়নামাজ, ১২০ কেজি প্রসাধনী, ২০০ কেজি ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য।

চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের অডিট, ইনভেস্টগেশন এন্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখা সূত্রে জানা গেছে, পাবনা রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এমজিএল কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড মরিশাস থেকে কম্বল ঘোষণায় ২৪০ প্যাকেজ (৮ হাজার ৪০০ কেজি) এক কন্টেইনার পণ্য আমদানি করে। গত ৮ ফেব্রুয়ারি মরিশাসের পোর্ট লুইস বন্দর থেকে ‘কোটা নাজার’ নামের একটি জাহাজে করে কন্টেইনারটি (DFSU6691599) চট্টগ্রাম বন্দরে আসে।

পণ্যটি খালাসের দায়িত্বে ছিল চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ এলাকার সিএন্ডএফ এজেন্ট ’প্রত্যয় ইন্টারন্যাশনাল’। বিল অব এন্ট্রি নং: সি-১৬১৫১৭ চালানটি গত ১৭ জুলাই একুইডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে নোটিং করা হয়। পরবর্তীতে গোপন সংবাদ পেয়ে পণ্যচালানটি লক করে কাস্টমস। চালানটি এতাদিন চট্টগ্রাম বন্দরের জেআর কন্টেইনার ইয়ার্ডে রক্ষিত ছিল। চট্টগ্রাম কাস্টমসের এআইআর শাখার একটি টিম চালানটি কিপ-ডাউন করে পণ্যচালানটির শতভাগ কায়িক পরীক্ষা শেষ করে। এসময় কম্বলের কাপড়ের (BLANKET FABRICS) পরিবর্তে কম্বল, জায়নামাজ, বিভিন্ন প্রকার প্রসাধনী সামগ্রী, খাদ্যদ্রব্যাদি, টেবিলওয়্যার, কিচেনওয়্যার সামগ্রী, ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীসহ ব্যাগেজ ভর্তি প্রায় ৭৫ ধরণের পণ্য পাওয়া যায়।

চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের এআইআর শাখার ডেপুটি কমিশনার শরফুদ্দীন মিয়া বলেন, কম্বলের কাপড় আমদানির ঘোষণা দিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি। পরে কায়িক পরীক্ষা করে চালানটিতে ২৩৮ টি প্যাকেজের ভেতর নতুন ও পুরাতন মিলিয়ে এতে প্রায় ১ হাজার ৫৫১ টি কম্বল (৪৫৫৭ কেজি), ৪৮৩ টি জায়নামাজ ( ৪৭৬ কেজি), ১২০ কেজি বিভিন্ন প্রকার প্রসাধনী, ২০০ কেজি বিভিন্ন প্রকার ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রীসহ মোট ৭ হাজার ৫৭০ কেজি পণ্য পাওয়া যায়। এসব পণ্যের শুল্কায়নযোগ্য মূল্য প্রায় ২০ লাখ টাকা। প্রতিষ্ঠানটি ১৭ লাখ টাকা শুল্ক ফাঁকি দিয়েছে। তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।