অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

শাহীন চট্টগ্রামের রাজনীতিতে চিরস্বরণীয় হয়ে থাকবেন: ডা. শাহাদাত

0
.

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, বাকলিয়া থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আফতাবুর রহমান শাহীনের অকাল মৃত্যু ছিল আমাদের জন্য ভীষণ কষ্টের। বিএনপির রাজনীতিতে তিনি ছিলেন একজন ত্যাগী ও নিবেদিত প্রাণ নেতা। ছাত্রদলের রাজনীতি দিয়ে পথচলা শুরু করে তিনি নিজেকে থানা এবং মহানগরের নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। মৃত্যুর আগে পর্যন্ত দলীয় আদর্শের প্রতি অবিচল থেকে বিএনপিকে শক্তিশালী করতে নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। শাহীন একজন কর্মীবান্ধব নেতা ছিলেন। কর্মীদের ডাকে সব সময় সাড়া দিয়েছেন তিনি। কোন কর্মীর যে কোন প্রয়োজনে তিনি সবার আগে এগিয়ে যেতেন। মৃত্যুর পর তার জানাযায় প্রচুর মানুষের উপস্থিতি প্রমাণ করেছে তিনি কতটা মানুষের হৃদয়ে ছিলেন। তিনি সবার হৃদয় জয় করা একজন নেতা ছিলেন। তিনি চট্টগ্রামের রাজনীতিতে চিরস্বরণীয় হয়ে থাকবেন।

তিনি আজ রবিবার (২১ নভেম্বর) বিকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ৮ম তলার হলে বাকলিয়া থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আফতাবুর রহমান শাহীনের স্বরণে শোক সভা উদযাপন পরিষদের শোক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

ডা. শাহাদাত বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামে আফতাবুর রহমান শাহীন যে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন তা বিএনপির নেতাকর্মীদের সবসময় অনুপ্রাণিত করবে। তিনি শহীদ জিয়ার নীতি ও আদর্শে আস্থাশীল হয়ে বিএনপিকে সুসংগঠিত ও গতিশীল করতে যে অবদান রেখেছেন নেতাকর্মীরা তা কোনোদিন ভুলবে না। মানুষ তার কর্মের মাধ্যমে বেঁচে থাকেন। শাহীনও তার রাজনৈতিক কর্মের মাধ্যমে আমাদের মাঝে অনন্তকাল বেঁচে থাকবেন। দলের প্রতি তার অবদানকে আমরা আজীবন স্মরণে রাখবো।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, আফতাবুর রহমান শাহীন চট্টগ্রামে বিএনপিকে সুসংগঠিত করে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। এই জন্য নিবেদিতপ্রাণ এই নেতাকে সইতে হয়েছে সরকারি নানা শারীরিক ও মানসিক জুলুম নির্যাতন। বিএনপির রাজনীতিতে তিনি সকল ধরণের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন ত্যাগী, সৎ ও সাহসী নেতা। মরহুম শাহীন ভদ্র, নম্র ও অমায়িক আচরণের অধিকারী ছিলেন। এজন্য তিনি দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নিকট ছিলেন অত্যন্ত প্রিয়। তাঁর সংগ্রামী ভূমিকার জন্য তিনি দলের নেতাকর্মীর কাছে আজীবন বেঁচে থাকবেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, মরহুম শাহীন সব সময় মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন। তিনি ও তার পরিবার বিভিন্ন মসজিদ মাদ্রাসায় গোপনে দান করতেন। বর্তমান রাজনৈতিক সংকট ও দুর্যোগকালীন সময়ে তার মত যোগ্য নেতার খুবই প্রয়োজন ছিল। তিনি আমাদের মাঝে না থাকলেও তার আদর্শকে ধারণ করে গণতন্ত্র মুক্তির আন্দোলনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে আসতে হবে।

আফতাবুর রহমান শাহীন শোকসভা পরিষদের আহবায়ক মো. সেকান্দর এর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব হাজী নবাব খানের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র যুগ্ম আহবায়ক এস এম সাইফুল আলম, এস কে খোদা তোতন, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য হারুন জামান, নিয়াজ মো. খান, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, এস এম আবুল ফয়েজ, আনোয়ার হোসেন লিপু, মোশারফ হোসেন দিপ্তী, গাজী সিরাজ উল্লাহ, মো. কামরুল ইসলাম, কোতোয়ালি থানা বিএনপি’র সভাপতি মনজুর রহমান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ জাকির হোসেন, মরহুম শাহীনের ভাই আরশাদুর রহমান এরশাদ ও মাঈনুদ্দীন নূর তারেক, নগর বিএনপি নেতা ইসহাক চৌধুরী আলীম, মাহবুবুল হক, জসিম উদ্দিন মিন্টু, অধ্যক্ষ খোরশেদ আলম, মো. শাহজান, আবদুল আজিজ, ইসমাইল বাবুল, ইউনুছ চৌধুরী হাকিম, আলী ইউছুপ, এস এম সেলিম, ওয়ার্ড় বিএনপি সভাপতি আবদুল্লাহ আল ছগির, আকতার খান, এস এম মুফিজ উল্লাহ, মো. আলমগীর, সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. এমরান উদ্দিন, ইয়াকুব চৌধুরী নাজিম, নুর হোসেন নুরু, সাব্বির আহমেদ, বিএনপি নেতা শেখ আলাউদ্দিন, হাজী মো. আইয়ুব, নাজিমুল হক নাজু, মুজিবুর রহমান, মন্জুর আলম, মামুনুর রশীদ, মো. সেকান্দর, হাজী মো. ইউছুপ, জমির উদ্দিন বাবলু, ইয়াকুব খান বাবু, আরিফুল ইসলাম ডিউক, মো. জসিম উদ্দিন, ইয়াকুব খান, জাহাঙ্গীর আলম প্রমূখ।