অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

স্বাধীনতার ৪৫ বছর পরও বুদ্ধিজীবিরা নির্যাতিত হচ্ছে- নোমান

0
bnp-photo-14-12-2016-b
.

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জনের ৪৫ বছর পরেও দেশে বুদ্ধিজীবিরা শুধুমাত্র রাজনৈতিক মতভিন্নতার কারণে ফ্যাসিষ্ট সরকারের প্রতিহিংসার শিকার হয়ে প্রতিনিয়ত নির্যাতিত হচ্ছে।

তিনি গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস ও শহীদ বুদ্ধিজীবি উপলক্ষে আয়োজিত ৩ দিনব্যাপী কর্মসূচীর প্রথম দিনে শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

মুক্তিযোদ্ধা নোমান আরো বলেন, ’৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনী জাতিকে মেধাশুন্য করার কু-মানসে রাতের অন্ধকারে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করেছিল। বুদ্ধিজীবিরা ছিল জাতির শ্রেষ্ঠ সূর্য সন্তান, তাঁদের আতœত্যাগের বিনিময়েই আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি।

bnp-phot-14-12-2016-a
৩দিনব্যাপী বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করছেন আব্দুল্লাহ আল নোমান।

এর আগে বিকালে মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম বক্কররকে সাথে নিয়ে নগরীর কাজীর দেউড়ির নাসিমন ভবনস্থ সাবেক বিমান অফিসের সামনে আয়োজিত দিনব্যাপী বিজয় দিবসের কর্মসূচীর আনুষ্ঠানিকভাবে শুভ উদ্বোধন করেন আবদুল্লাহ আল নোমান।

এসময় নোমান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম চেতনা ছিল গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার, কিন্তু স্বাধীনতা অর্জনের ৪৫ বছর পার হলেও আমাদেরকে এখনো গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করে যেতে হচ্ছে।

গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার ছাড়া স্বাধীনতা অর্থহীন উল্লেখ করে নোমান বলেন, স্বাধীন দেশে এখন আমরা পরাধীন, ভোটাধিকার নেই, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নেই, সর্বোপরি স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি নেই। ’৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনী বুদ্ধিজীবিদের রাতের অন্ধকারে নির্যাতন করে হত্যা করেছিল কিন্তু স্বাধীন দেশে স্বাধীনতার ৪৫ বছর পরে ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত আওয়ামীলীগ সরকার প্রকাশ্য দিবালোকে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবিদের গ্রেফতার করে কারাগারের অন্ধ প্রকোষ্টে নিক্ষেপ করে নির্মম নির্যাতন চালাচ্ছে, যার নিকট উদাহারণ হচ্ছে দেশবরেণ্য সাংবাদিক শফিক রেহমান, আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ ও মাহমুদুর রহমান মান্না প্রমূখ।

সরকারের প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে জীবন সায়াহ্নে এসে মামলার আসামী হতে হয়েছে প্রখ্যাত রাষ্ট্রবিজ্ঞানী প্রফেসর এমাজ উদ্দীন আহমদকে।

জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মনিরুল ইসলাম ইউসুফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সভাপতি ডাক্তার শাহাদাত হোসেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, মহিলাদলের সাবেক সভাপতি নূরী আরা সাফা, সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, ইঞ্জিনিয়ার কে.এম. সুফিয়ান, মুক্তিযোদ্ধা ডাক্তার এস.এম. সাদেক, ফয়েজুল ইসলাম, এম.এ. মতিন, সার্জেন্ট (অবঃ) গোলাম মোস্তফা, মহানগর যুবদলের সভাপতি কাজী বেলাল, মোঃ আলী, এস.এম. সাইফুল আলম, হারুন জামান, ইসকান্দার মির্জা, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, সবুক্তগীন মক্কী, এডভোকেট মফিজুল হক ভূইয়া, জসীম উদ্দিন জিয়া, নুরুল আলম রাজু, আনোয়ার হোসেন লিপু, আশরাপ চৌধুরী, আব্দুল মান্নান, শাহেদ বক্স, টিংকু দাশ, কামরুল ইসলাম, গাজী সিরাজ উল্লাহ, মাইনুদ্দিন শহীদ, মোশারফ হোসেন ডিপটি, হাজী বাবুল হক, ইকবাল হোসেন, ইকবাল চৌধুরী, হাজী তৈয়ব, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, জাহাংগীর আলম, এস.এম. ফরিদুল আলম, এস.এম.জি, আকবর, নবাব খাঁন, হাজী সাইফুল আলম প্রমূখ।

আলোচনাকালে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। শহীদ জিয়া রণাঙ্গনে যুদ্ধ করে বীরউত্তম খেতাব লাভ করেছিলেন। বিএনপি সংখ্যাগরিষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধার দল। কিন্তু স্বাধীনতার ৪৫ বছর পরেও আমরা পরাধীনতার শৃঙ্খলে বন্দী। এই স্বৈরাচার সরকার বাংলাদেশের মানুষের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রকে খর্ব করেছে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আবুল হাশেম বক্কর বলেন, সরকার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভয় পায়, যার কারণে মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক শহীদ জিয়ার মাজার উচ্ছেদের ষড়যন্ত্র করছে। শহীদ জিয়ার মাজারে হাত দিলে চট্টগ্রাম থেকেই সরকারের পতন ঘন্টা বাজানো হবে।