অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে হামলাকারী সন্ত্রাসীদের শাস্তির দাবিতে কাল পেশাজীবী সমাবেশ

0
screenshot_4
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব ভবন।

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে নজিরবিহীন হামলা ও সাংবাদিকদের হত্যাচেষ্টায় জড়িতদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে পূর্বঘোষিত পেশাজীবী সমাবেশ আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত হবে।  নগরীর জামালখানস্থ প্রেসক্লাবের সামনে সকাল ১১টায় সমাবেশে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন, প্রেস ক্লাব সদস্য, কর্মরত সাংবাদিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে উপস্থিত থাকতে অনুরোধ জানিয়েছেন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।

এদিকে, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় গ্রেফতার হওয়া চার যুবকের জামিন আবেদন আবারও নামঞ্জুর করেছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের পাঁচদিনের রিমান্ডে চেয়ে পুলিশের দাখিল করার আবেদনের শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার সময় নির্ধারণ করেছেন আদালত।

বুধবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান গঠিত প্রচার সেলের সদস্য আল রহমান।

এতে বলা হয়, ওইদিন কারাগারে থাকা চার যুবককে আদালতে হাজিরেরও নির্দেশ আদালত দিয়েছেন বলে ‍জানিয়েছেন নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (প্রসিকিউশন) নির্মলেন্দু বিকাশ চক্রবর্তী।

বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম নাজমুল হোসেন চৌধুরী এসব আদেশ দিয়েছেন।

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া দুটি মামলায় দ্রুত বিচার আইনের ধারা সংযোজনের আবেদন জানিয়েছে বাদিপক্ষ।

শুনানি শেষে মহানগর হাকিম নাজমুল হোসেন চৌধুরী মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে এই বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (প্রসিকিউশন) নির্মলেন্দু বিকাশ চক্রবর্তী বলেন, দুটি মামলার এজাহারে উল্লেখ থাকা দণ্ড বিধির বিভিন্ন ধারার সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা বিঘœকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আইনের ৩ ও ৪ ধারা সংযুক্ত করার আবেদন করেছে বাদিপক্ষ।

আদালত তদন্ত কর্মকর্তাকে তদন্তে প্রমাণ পেলে এই ধারা সংযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

গত ৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ঐক্যবদ্ধ সনাতন সমাজের ব্যানারে মানববন্ধন থেকে কিছু উচ্ছৃঙ্খল যুবক প্রেসক্লাবে হামলা, ভাংচুর এবং সাংবাদিকদের লাঞ্ছিত করে। এসময় তারা একুশে টেলিভিশনের গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চার যুবককে আটক করে।

এই ঘটনায় ৭ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের পক্ষে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ এবং আক্রান্ত সাংবাদিকদের পক্ষে রমেন দাশগুপ্ত বাদি হয়ে কোতয়ালি থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন।

গত ৮ ডিসেম্বর উভয় মামলায় জামিনের আবেদন করে আসামিপক্ষ। এছাড়া রমেন দাশ গুপ্তের দায়ের করা মামলায় তিনদিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন জানান তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতয়ালি থানার এস আই নূরুল ইসলাম।

চৌধুরী ফরিদের দায়ের করা মামলায় আদালত আসামিদের জামিন মঞ্জুর করেন। এছাড়া রমেন দাশগুপ্তের মামলায় আসামিদের রিমান্ড ও জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন আদালত।

এরপর বুধবার রমেন দাশগুপ্তের মামলায় আসামিদের আবারও পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন জানান তদন্ত কর্মকর্তা।
প্রেসক্লাব ও রমেন দাশগুপ্তের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সিনিয়র আইনজীবী ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, আহসানুল হক হেনা, সালাউদ্দিন হায়দার সিদ্দিকী, রেজাউল করিম চৌধুরী, কাউসার পারভিন হক, আবিদ হোসেন, সাইফুদ্দিন খালেদ, যীশু রায় চৌধুরী ও গোলাম মাওলা মুরাদ।