অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

বড়পুকুরিয়া খনি শ্রমিকদের অবস্থান ধর্মঘট স্থগিত

0

মোস্তাফিজুর রহমান সুমন, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ

barapukuriya-sramik-dharmoghat-sthogit-14-12-2016
বুধবার দুপুরে আয়োজিত শ্রমিক সমাবেশ থেকে কয়লা খনি শ্রমিকদের ধর্মঘট স্থগিত ঘোষণা করা হয়।

দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি কর্তৃপক্ষের অনুরোধে খনি শ্রমিকদের অবস্থান ধর্মঘট ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে।

বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে এ ঘোষণা দেন বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি রবিউল ইসলাম রবি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের উপদেষ্টা পার্বতীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হাফিজুল ইসলাম প্রামাণিক, খনি শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান, সাবেক সভাপতি ওয়াজেদ আলীসহ কয়েকশ’ শ্রমিক।

এর আগে ০৮ ডিসেম্বর স্থায়ী নিয়োগের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করে ১৪ ডিসেম্বর দুপুর দেড়টা থেকে লাগাতার অবস্থান ধর্মঘটের ঘোষণা দেন শ্রমিক নেতারা।দীর্ঘ ২০ বছর ধরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এক হাজারেরও বেশি শ্রমিক কয়লা খনিতে কাজ করে আসছেন। তাদের দৈনিক মজুরি দেওয়া হয় সারফেজে ২৯৭ টাকা ও ভূ-গর্ভে ৩৫০ টাকা। মাসে একজন শ্রমিক ১৮-২০ দিনের বেশি কাজ করতে পারে না। ফলে মাস শেষে তাদের বেতন দেওয়া হয় ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা। এই টাকা দিয়ে পরিবার নিয়ে তারা অনেক কষ্টে দিনযাপন করেন।

খনির বর্তমান এমএন্ডপি চায়না ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সিএমসি-এক্সএমসি সঙ্গে আগামী ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে চুক্তি শেষ হবে। ইতোমধ্যে খনি কর্তৃপক্ষ এমএন্ডপি ঠিকাদার নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছে।

২০১১ সালে খনি কর্তৃপক্ষ বলেছিলো খনির এমএন্ডপি ঠিকাদারের সঙ্গে পরবর্তী চুক্তির সময় তাদের চাকরি স্থায়ী করা হবে। কিন্তু শ্রমিকদের চাকরি স্থানীয়করণের বিষয়ে কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

এ ব্যাপারে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি রবিউল ইসলাম রবি জানান, ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস। মহান বিজয় দিবসের সম্মানে এবং খনি কর্তৃপক্ষের অনুরোধে পূর্ব নির্ধারিত সময়ে অবস্থান ধর্মঘটে না গিয়ে দু’দিনের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। মহান বিজয় দিবসের পরে আবারও সংবাদ সম্মেলন করে লাগাতার অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি শুরু করা হবে।
খনির মহা ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) শরিফুল ইসলাম অবস্থান ধর্মঘট স্থগিতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।