অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

টাইগারদের ৮৩ রানের লিডে তৃতীয় দিনের সমাপ্তি

0
.

প্রথম দুই দিন উইকেট থেকে খুব একটা সহায়তা পায়নি বোলাররা। দুই দিনের প্রথম দুই সেশনে বোলারদের বুদ্ধিমত্তার উপর বাংলাদেশের ইনিংস গুটিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছিল পাকিস্তান। যদিও পরের দুই সেশন ঠিকই ভুগেছিল বাংলাদেশি বোলাররা। তবে তৃতীয় দিনে এসে উল্টো আচরণের দেখা মিলেছে। তিন সেশনে উইকেট পড়েছে চৌদ্দটা। দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুটা ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশের টপ অর্ডারের ব্যাটাররা। চার উইকেট হারিয়ে তুলেছে মাত্র ৩৯ রান।

আজ রোববার চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিনে বাংলাদেশের দেওয়া ৩৩০ রানের লিড মোকেবেলায় ২৮৬ রানের থামে পাকিস্তান। ৪৪ রানের লিড পেয়ে দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাট করে ১৯ ওভারে চার উইকেট হারিয়ে ৩৯ রান তোলে স্বাগতিকরা। দুই ইনিংস মিলিয়ে বাংলাদেশের লিড ৮৩ রান।

দিনের প্রথম দুই সেশনে একক আধিপত্য দেখায় বাংলাদেশি বোলাররা। আগের দিন পাকিস্তানের কোনো ব্যাটারকে সাজঘরে ফেরাতে না পারলেও এই দিন দুই সেশনে তুলে নেয় দশ উইকেট। প্রথম সেশনে চার ও পরের সেশনে ছয়, তাতেই সমাপ্তি ঘটে সফরকারীদের ইনিংসের। বল হাতে ৪৪ ওভার চার বলে ১১৬ রান দিয়ে একাই সাত উইকেট শিকার করেন তাইজুল ইসলাম।

লিড পেয়ে ব্যাট করতে এসে বাংলাদেশ শুরুটা রাঙিয়ে দিতে পারেনি দুই ওপেনার সাদমান ইসলাম ও সাইফ হাসান। দলীয় ১৪ রানের মাথায় শাহীন শাহ আফ্রিদির শিকার হন সাদমান। ফেরেন মাত্র এক রান করে। একই ওভারে নতুন ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্তকে শূন্য রানে ফেরান এই পেসার।

চারে ব্যাট করতে এসে আবারও ব্যর্থ হন মুমিনুল হক। এবার শূন্য রানেই তাকে সাজঘরে ফেরান হাসান আলী। দুই ইনিংসে দলের আশার বাতি হয়ে জ্বলতে পারেনি এই ব্যাটারের ব্যাট। ১৫ রানেরই তিন ব্যাটারকে হারিয়ে বিপাকে পড়ার পর ওপেনার সাইফকে নিয়ে খানিকটা দূর এগিয়ে যান মুশফিকুর রহিম। তাদের ১০ রানের জুটি ভাঙলে সাজঘরে ফেরেন সাইফ। ৩৪ বলে ১৮ রান করা এই ওপেনারকে ফেরান আফ্রিদি।

দিনের বাকি অংশ ইয়াসির আলী রাব্বিকে নিয়ে কাটিয়ে দেন মুশফিক। এই যুগলের ব্যাটে চতুর্থ দিনের দিকে চেয়ে থাকবে বাংলাদেশ।