অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

অরক্ষিত কক্সবাজার বিমানবন্দর: রানওয়েতে বিমানের ধাক্কায় ২ গরুর মৃত্যু

0
.

কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের সময় ভয়াবহ দুর্ঘটনা থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজ। উড্ডয়নের সময় বিমানের পেছনের চাকার সঙ্গে দুটি গরুর ধাক্কা লাগে।

মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে ঢাকার শেষ ফ্লাইট উড্ডয়নকালে এই ঘটনা ঘটেছে।

কক্সবাজার বিমানবন্দর ও শাহজালাল বিমানবন্দর সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।

শাহজালাল বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-৪৩৮ উড়োজাহাজটি সন্ধ্যায় ৬টা ৪৫ মিনিটে ঢাকার আকাশে পৌঁছায়। অবতরণের আগে শাহজালাল বিমানবন্দরের এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলকে (এটিসি) পাইলট উড়োজাহাজের চাকায় কারিগরি ত্রুটি থাকার কথা জানান। তখন এটিসি থেকে তাকে কিছুক্ষণ আকাশে অপেক্ষা করতে বলা হয়।

৯৪ জন যাত্রী নিয়ে প্রায় ২০ মিনিট ঢাকার আকাশে ঘুরতে থাকে যাত্রীবোঝাই উড়োজাহাজটি। এই সময়ের মধ্যে শাহজালাল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ তাদের প্রস্তুতি সম্পন্ন করে, যেন অবতরণের সময় কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা ঘটলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায়।

সূত্র জানায়, ঢাকাগামী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহজ উড্ডয়নের সময় রানওয়েতে চলে আসে দুটি গরু। মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) বিকাল ৫টা ৫৫ মিনিটের দিকে রানওয়ে ১৭ নম্বর ডেল্টা পোস্টের সামনে দিয়ে উড্ডয়নের সময় বিমানের ডানপাশের সঙ্গে গরু দুটির ধাক্কা লাগে। গরু দুটি ঘটনাস্থলেই মারা যায়। তবে বিমানটি সফলভাবে উড্ডয়ন করে বিমানবন্দর ত্যাগ করে। পরবর্তীতে বিমানটি ঢাকা অবতরণের জন্য সতর্কতার সঙ্গে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

ওই বিমানের যাত্রী কক্সবাজার পৌরসভার বাসিন্দা জানে আলম জানান, মঙ্গলবারের শেষ ফ্লাইট হিসেবে সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের এক‌টি ফ্লাইট (BG-438) ৯৪ জন যাত্রী নিয়ে কক্সবাজার থেকে ঢাকার উদ্দেশে উড্ডয়ন করছিল। হঠাৎ কিসের সঙ্গে যেন ধাক্কা লাগে বিমানটির। এতে তীব্র ঝাঁকুনি হলে সবাই আতংকিত হয়ে দোয়া পড়তে থাকে। আল্লাহর রহমতে আমরা নিরাপদে ৭টা ৫ মিনিটে ঢাকা বিমানবন্দরে অবতরণ করতে পেরেছি। পরে খবর নিয়ে জেনেছি, বিমানের পাখার সঙ্গে ধাক্কা লেগে দুটি গরু মারা গেছে।

এ ব্যাপারে জানতে কক্সবাজার বিমানবন্দরে ব্যবস্থাপক মো. গোলাম মূর্তুজা হোসেনের সরকারি মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

উল্লেখ্য, কক্সবাজার বিমানবন্দর রানওয়েটি দীর্ঘদিন ধরে অরক্ষিত। বিমানবন্দরের কয়েক পাশে নিরাপত্তা দেয়াল মজবুত না। ফলে কুকুর, গরু ও মানুষের অবাধ যাতায়াত চলে।