অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

সাক্ষাৎকারে ডা: মুরাদকে উস্কানী দেওয়া কে এই যুবক?

0
.

নাহিদ রেইন্স নামে এক যুবকের একটি ফেসবুক পেজে (www.facebook.com/nahidrains) সাক্ষাৎকার দিয়ে তুমুল বিতর্কে জড়ান তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। সাক্ষাৎকারের ভিডিওতে দেখা যায়, হোস্ট নাহিদ নামে ওই যুবক তথ্য প্রতিমন্ত্রীকে বিএনপি নেতা তারেক রহমান ও তার কন্যা জাইমা রহমানকে নিয়ে বিভিন্ন বিষয় উসকানিমূলক প্রশ্ন ছুড়ে দিচ্ছেন এবং প্রতিমন্ত্রী একের পর এক অশালীন অশ্রাব্য মনগড়া মন্তব্য করে যাচ্ছেন।

জানা গেছে, হোস্ট ওই যুবকের বাড়ি চট্টগ্রামের পটিয়া হলেও সে থাকে নগরীর হালিশহর এলাকায়। কয়েক বছর বছর ধরে সে ফেসবুক ইউটিউবকে কাজে লাগিয়ে দেশে রাজনৈতিক নেতা, আলেম ওলেমাসহ বিভিন্ন মানুষকে নিয়ে তথ্য প্রমানবিহীন ভিডিও তৈরি করে চলছে। লক্ষাধিক ফলোয়ারের ওই ফেসবুক পাতায় পোস্ট করে বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করে আসছেন।

তার বিরুদ্ধে রয়েছে অর্থ আত্মসাৎ, প্রতারণা ও নারীর সাথে লাম্পট্যপনার নানা অভিযোগ। এসব নিয়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ এবং মামলা অভিযোগ দেয়া হয়েছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীরি কাছে।  সিজেকে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ সমর্থক দাবী করে সে একের পর এক ভিডিও তৈরী করে মানুষের চরিত্র হরণ করে যাচ্ছে।

.

তার প্রকৃত নাম নাহিদ হেলাল হলেও কখনো ”নাহিদ করিম হেলাল” কখনো নাহিদ রেইন্স কখনো নাহিদ নামে সে মানুষের সাথে প্রতারণা করছে।

তার মূল অস্ত্র হচ্ছে তার দুটি ফেইসবুক পেইজ (Bangladeshism এবং NahidRains Pictures) আর তার ইউটিউব চ্যানেল। এই দুই অস্ত্র ব্যবহার করে সে নাম ও অর্থ উভয়ই কামাচ্ছে, নিজের নোংরা কাম ভাব চরিতার্থ করার চেষ্টা করছে, এমনিক তার শত্রুদের নাজেহাল করতেও সে একই অস্ত্র ব্যবহার করছে। অথচ লোকের কাছে বলে বেড়ায়, তার পেইজ আর ইউটিউব দিয়ে সে দেশ ও জাতির প্রভূত উপকার করছে।

.

১ ডিসেম্বর রাতে ‘অসুস্থ খালেদা, বিকৃত বিএনপির নেতাকর্মী’ শিরোনামে নাহিদের সঙ্গে ফেসবুক লাইভে যুক্ত হন মুরাদ হাসান। লাইভের এক পর্যায়ে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মেয়ে জাইমা রহমানকে নিয়ে তিনি বিভিন্ন মন্তব্য করেন। এ ছাড়া বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্ম ও পরিবার নিয়েও কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। এ ছাড়া তিনি বিএনপির সাবেক নারী এমপি সৈয়দা আসিফা আশরাফী পাপিয়াকে ‘মানসিক রোগী’ বলেও অভিহিত করে বিতণ্ডায় লিপ্ত হন।

তিনি বলেন, আমার মেয়ের বয়সের চেয়ে সে এক বছরের বড়। আমার কন্যার মতো বয়সী হয়ে যে নোংরা ভাষায় আমাকে নিয়ে ট্রল করেছে, সেটা তো কুচিন্তনীয়। এটা আমার কাছে খুব দুঃখজনক মনে হয়েছে। তার সম্পর্কে সামাজিকমাধ্যমের অনেক ছবি আমার কাছে চলে এসেছে।

তিনি বলেন আমি একজন চিকিৎসক। সেই হিসেবে তার সম্পর্কে আমার যে অবজারভেশন, সেটা আমি বলেছি। সেটা ভুল হলে আমি দুঃখিত।

তবে সৈয়দা আসিফা আশরাফী পাপিয়ার বক্তব্য, মুরাদ হাসান যদি সত্যিকার অর্থে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হতেন, তাহলে তিনি ‘দায়িত্বশীল জায়গা থেকে এ ধরনের মন্তব্য করতে পারতেন না।’

তিনি জাইমা রহমানকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ কথা বলায় নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দেয় নারীবাদীরা। রোববার সন্ধ্যায় নারীপক্ষের বিবৃতিতে প্রশ্ন করা হয়েছে, এ ধরনের, ‘নারীবিদ্বেষী ও বর্ণবাদী কিভাবে একজন জনপ্রতিনিধি হয়েছে, মন্ত্রী পরিষদের সদস্য হয়েছে।

এ বিষয়ে সোমবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের দেওয়া বক্তব্য তার ব্যক্তিগত মন্তব্য। এটি দল বা সরকারের নয়। এ ধরনের বক্তব্য তিনি কেন দিলেন, বিষয়টি নিয়ে অবশ্যই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করা হবে। ওইদিন রাত ৮টার দিকেই ওবায়দুল কাদের জানান, আগামীকালের (৭ ডিসেম্বর) মধ্যে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানকে পদত্যাগ করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।