অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

র‍্যাব কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা: মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব

0
.

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) বর্তমান ও সাবেক কয়েকজন কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি অ্যান্ড স্টেট ডিপার্টমেন্টের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে ঢাকার অসন্তোষ জানাতে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলারকে তলব করেছেন।

আজ শনিবার পররাষ্ট্র সচিব মোমেন হতাশা প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কোনো আলোচনা ছাড়াই মার্কিন প্রশাসন একতরফাভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য যে বিষয়গুলোর কথা বলা হয়েছে সেগুলো নিয়ে এখনও আলোচনা চলছে। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে নিয়মিত প্রাতিষ্ঠানিক সংলাপ চলছে, এরমধ্যেই হঠাৎ মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে জানা গেল।

পররাষ্ট্র সচিব দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ সরকারের একটি সংস্থার ক্ষমতা হ্রাস করতে চাইছে, যেটি সন্ত্রাসবাদ, মাদক পাচার এবং অন্যান্য আন্তদেশীয় অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সম্মুখ সারিতে নেতৃত্ব দিচ্ছে। কাজের প্রয়োজনে প্রায়ই তাদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যেতে হতো।

পররাষ্ট্র সচিব আরও বলেন, কিছু নির্দিষ্ট ঘটনার জন্য র‌্যাবের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো করা হয়েছে। এর আগে এই বিষয়গুলোর জবাবদিহিতার জন্য শুধুমাত্র মার্কিন প্রশাসনের কাছে নয়, একাধিকবার জাতিসংঘের মানবাধিকার ব্যবস্থার কাছেও ব্যাখ্যা করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র‍্যাব এর সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ ও পাঁচ কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বেনজীর আহমেদ বাংলাদেশ পুলিশের বর্তমান মহাপরিদর্শক (আইজিপি)।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘনের জন্য গ্লোবাল ম্যাগনিটস্কি নিষেধাজ্ঞা কর্মসূচির অধীনে দেশটির ট্রেজারি বিভাগ র‌্যাব, বেনজির আহমেদ ও অন্য পাঁচ কর্মকর্তাকে এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় এনেছে।

এছাড়া নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা অন্যরা হলেন- র‌্যাবের বর্তমান মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) খান মোহাম্মদ আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) তোফায়েল মোস্তাফা সরোয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ও সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) মোহাম্মদ আনোয়ার লতিফ খান।

২০১৮ সালের কক্সবাজারের টেকনাফে পৌর কাউন্সিলর একরামুল হকের ‘বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড’ এর ঘটনাটি উল্লেখ করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।

এ কর্মকর্তাদের ওপর মার্কিন নির্বাহী আদেশ (ইও) ১৩৮১৮ জারি করা হয়েছে। এর মানে হলো দেশটিতে এ কর্মকর্তাদের কোনো সম্পত্তি থাকলে তা জব্দ করা হবে। এ প্রথম বাংলাদেশের কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।