অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

মো. আলী বিএনপির একজন নিবেদিতপ্রাণ নেতা ছিলেন : ডা. শাহাদাত

0
.

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি ও মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলীর ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র পক্ষ থেকে মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

আজ শনিবার দুপুরে নগরীর গরীবুল্লাহ শাহ (রঃ) মাজার সংলগ্ন জামে মসজিদে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন মহানগর ওলামা দলের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবদুল হান্নান জিলানী। পরে মাজার সংলগ্ন কবরস্থানে মরহুমের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

এসময় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি মরহুম মোহাম্মদ আলী ছিলেন ৯০’র স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের অকুতোভয় সৈনিক। তিনি দলের একজন দায়িত্বশীল ও নিবেদিতপ্রাণ নেতা ছিলেন। ছাত্রদলের রাজনীতি দিয়ে তিনি পথচলা শুরু করেছিলেন। একজন আদর্শবাদী মানুষ হিসেবে তিনি কখনোই নীতি ও আদর্শ থেকে বিচ্যুত হননি। তিনি তার স্বল্পপরিসরের জীবনকালকে দলের কল্যাণে অকাতরে ব্যয় করে গেছে। দলের সব সংকটকালে তিনি সাহসী নেতৃত্ব দিয়েছেন। চট্টগ্রামে বিএনপি ও ছাত্রদলকে শক্তিশালী সংগঠনে পরিণত করতে তার ভূমিকা ছিল অপরিসিম। বর্তমান স্বৈরশাসকের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে রাজপথে দূর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে মোহাম্মদ আলীর মতো নির্ভীক নেতার বড় বেশী প্রয়োজন ছিল। দলের প্রতি তার অবদান বিএনপি আজীবন স্মরণে রাখবে। তিনি মরহুম মোহাম্মদ আলীর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।

এ সময় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, মরহুম মোহাম্মদ আলী একজন কর্মীবান্ধব দক্ষ সংগঠক ছিলেন। দলের দুঃসময়ে তিনি ছাত্রদল ও বিএনপিকে সুসংগঠিত করেছেন। আন্দোলন সংগ্রামে তিনি যে ভুমিকা রেখেছেন তা যুগ যুগ ধরে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তার মৃত্যুতে দলের যে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে তা কখনোও পুরণ হবার নয়। মৃত্যুর চার বছর পরও সে আমাদের মাঝে স্বমহিমায় উজ্জল ও অমলিন।

দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, মোহাম্মদ আলী একজন দল অন্তপ্রাণ ব্যক্তি হিসিবে সবার কাছে পরিচিত ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন সৎ, বিনয়ী ও ভদ্র মানুষ। শহীদ জিয়ার আদর্শকে ধারণ করে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বের প্রতি অবিচল আস্থাশীল ছিলেন তিনি। ওয়ান ইলেভেনের কঠিন সময়ে সে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য সোচ্চার ভূমিকা পালন করেছিল। তার অকালে চলে যাওয়া আমাদের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এড. আবদুস সাত্তার, এস এম সাইফুল আলম, নাজিমুর রহমান, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আহবায়ক কমিটির সদস্য হারুন জামান, আনোয়ার হোসেন লিপু, মো. কামরুল ইসলাম, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, সাধারণ সম্পাদক মো. শাহেদ, নগর বিএনপি নেতা আমিন মাহমুদ, আবদুল হালিম স্বপন, ইদ্রিস আলী, সফিক আহমেদ, রফিক সর্দার, কৃষকদলের সদস্য সচিব কামাল পাশা নিজামী, সি. যুগ্ম আহবায়ক শওকত আলী বাবুল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সি. সহ সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, সি. যুগ্ম সম্পাদক আলী মর্তুজা খান, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি রাসেল পারভেজ সুজন, সাধারণ সম্পাদক হাসান ওসমান চৌধুরী, হাজী আবু ফয়েজ, হায়দার আলী, অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ সাবের আহমেদ টারজান, আসাদুর রহমান টিপু, আনোয়ার হোসেন আনু, গোলজার হোসেন, শেখ রাসেল, মহসিন কবির আপেল, কামরুল ইসলাম কুতুবী, রায়হান আলম, আলিফ উদ্দীন রুবেল, শামসুল আলম বাবুল, মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক সালাউদ্দিন সাহেদ, সালাউদ্দিন কাদের আসাদ, আরিফুর রহমান মিঠু, শহিদুল ইসলাম সুমন, সাব্বির আহমেদ, রাজিবুল হক বাপ্পি, মাহমুদুর রহমান বাবু, ইসমাইল হোসেন, জাহেদ হোসেন খান জোসি, নুর নবী মোহরম প্রমূখ।