অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

নগরীতে স্ত্রী হত্যার দায়ে গ্রেফতার সেই আইনজীবী কারাগারে

0
নিহত মাহমুদা খানম আঁখি ও আইনজীবি আনিসুল ইসলাম

যৌতুকের দাবীতে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে গ্রেফতার হওয়া সেই আইনজীবীকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। আজ সোমবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার জাহানের আদালত অভিযুক্ত আইনজীবী আনিসুল ইসলাম (৩৬) কে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় নগরীর একটি বেসরকারী ক্লিনিকে স্বামী আনিসুলের নির্যাতনের শিকার মাহমুদা খানম আঁখি (২১) মারা যান।মৃত আঁখি, নগরীর বেসরকারি সাউর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের তৃতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী ছিলেন।

আনিসুল ইসলাম চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য। তিনি বাঁশখালী থানার উত্তর জলদী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে।

চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঈনুর রহমান চৌধুরী বলেন, স্ত্রী হত্যার মামলায় আনিসুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ আদালতে তাকে আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আরও খবর: আইনজীবি স্বামীর নির্যাতনে স্ত্রী আঁখির মৃত্যু, স্বামীসহ আটক ২

নিহত আঁখির ভগ্নিপতি আবুল কালাম পাঠক ডট নিউজকে জানান, আমার শ্যালিকা আঁখির সাথে আইনজীবি আনিসুল ইসলামে বিয়ে হয় প্রায় দেড় বছর আগে। আনিসুল চট্টগ্রাম আদালতের আইনজীবি। দুজনের বাড়ী বাঁশখালী পৌরসভার জলদী এলাকায়। বিয়ের পর তারা নগরীর চাঁন্দগাও থানার পাঠানিয়া গোদাে এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতো।

তিনি বলেন, বিয়ের পর থেকে স্বামী আনিসুল যৌতুকের জন্য আঁখির উপর নির্যাতন চালিয়ে আসছিল। সে তার পরিবারকে নির্যাতনের কথা জানালে স্বামী আরও বেশি নির্যাতন চালাতে থাকে। ৬ মাস আগে তার ফোন কেড়ে নেয় আনিসুল। যার কারণে এতোদিন পরিবারের সাথে যোগাযোগ করতে পারেনি। কয়েকদিন আগে তার উপর পাশবিক নির্যাতন চালানো হয়। পেটে লাথি মারলে তিনি গুরুত্বর আহত হয়। পরে তাকে নগরীর পার্কভিউ হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসকরা পরিক্ষা নিরিক্ষা করে দেখে নির্যাতনে আঁখির পেটের নাড়িভূঁড়ি ছিঁড়ে যায়। ফলে জঠিল এ অপারেশন করতে তারা অপরাগতা প্রকাশ করলে রবিবার সকালে আঁখিকে পাঁচলাইশ সার্জিস্কোপ ক্লিনিকে ভর্তি করে। সেখানে সন্ধ্যায় মারা যায়।

এদিকে মৃত্যুর পর পরই গতকাল রাতে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ স্বামী আনিসুল ইসলামস ও তার খালাতো ভা্ইকে আটক করে। ঘটনার স্থান চাঁন্দগাও থানা এলাকায় হওয়ায় তাদের দুজনকে সেখানে হস্তান্তর করে পাচঁলাইশ থানা।

এদিকে আজ সোমবার (২০ ডিসেম্বর) নিহত আঁখির ভাই মিজানুর রহমান বাদী হয়ে চান্দগাঁও থানায় স্বামী আনিসুল ইসলাম, স্বামীর মা ফরিদা আক্তার (৫০) ও স্বামীর বোন হামিদা বেগমসহ অজ্ঞাতনামা আরও চারজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করে।