অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

চট্টগ্রামে পেটে লাথি মেরে স্ত্রী হত্যার দায়ে গ্রেফতার সেই আইনজীবি রিমান্ডে

0
নিহত মাহমুদা খানম আঁখি ও আইনজীবি আনিসুল ইসলাম

স্ত্রীর পেটে লাথি মেরে নাড়িভূঁড়ি ছিঁড়ে হত্যার মামলায় গ্রেফতার হওয়া চট্টগ্রাম আদালতের আইনজীবি অ্যাডভোকেট আনিসুল ইসলামের (৩২) এক দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।

আজ বুধবার (২২ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহনাজ রহমানের আদালত এক দিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন।

হত্যা মামলার বাদী ও নিহত নারীর ভাই মিজানুর রহমান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আনিসুল ইসলামের ৫ দিনের রিমান্ড ও জামিন আবেদন করেছিলেন। আজ বুধবার দুপুরে আদালত শুনানি শেষে এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ডের প্রতিবেদন সাপেক্ষে জামিন আবেদনের শুনানি করা হবে।

আসামী আনিসুল ইসলাম, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য। তিনি বাঁশখালী থানার উত্তর জলদী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে।

এর আগে গত সোমবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার জাহানের আদালত আনিসুল ইসলামকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছিলেন।

মামলায় অভিযোগে জানা যায়, আইনজীবি আনিসুল ইসলামের সাথে নিহত সাথে মাহমুদা খানম আঁখি (২১)র বিয়ে হয় প্রায় দেড় বছর আগে। আনিসুল চট্টগ্রাম আদালতের আইনজীবি। দুজনের বাড়ী বাঁশখালী পৌরসভার জলদী এলাকায়। বিয়ের পর তারা নগরীর চাঁন্দগাও থানার পাঠানিয়া গোদা এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতো। সেখানে যৌতুকের দাবিতে মাহমুদা খানম আঁখিকে নির্যাতন করে আসছিল স্বামী আনিসুল।গত ১৮ ডিসেম্বর স্বামী আখিঁর পেটে লাথি মারলে তার পেটের নাড়িভুঁড়ি ছিঁড়ে যায়। পরে নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে পুনরায় অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত রোববার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় মারা যান।

গত সোমবার (২০ ডিসেম্বর) নিহতের ভাই মিজানুর রহমান বাদী হয়ে চান্দগাঁও থানায় স্বামী আইনজীবী আনিসুল ইসলাম, মা ফরিদা আক্তার (৫০) ও বোন হামিদা বেগমসহ অজ্ঞাতনামা তিন-চারজনকে আসামি করে মামলা করেন। মৃত মাহমুদা খানম আঁখি, নগরীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের তৃতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী ছিলেন।