অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

ঢাবির সাবেক অধ্যাপককে শ্বাসরোধে হত্যা

0
.

গাজীপুরের কাশিমপুরে নিখোঁজের দুই দিন পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক অধ্যাপক সাঈদা গাফফারের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

আজ শুক্রবার সকালে গাজীপুর মহানগরীর দক্ষিণ পাইনশাইল এলাকার ঢাবি শিক্ষকদের আবাসন প্রকল্পের ভিতর থেকে গলায় ওড়ানা প্যাঁচানো অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ছিলেন। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে মো. আনোয়ারুল ইসলাম (২৫) নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। সাইদা গাফফারের বাড়িতে রাজমিস্ত্রির কাজ করতো আনোয়ারুল।

কাশিমপুর থানার ওসি মাহবুবে খোদা বলেন, সাঈদা গাফফারের লাশ একটি ঝোপের মধ্যে পড়ে আছে এমন খবর পুলিশকে জানায় আনোয়ারুল ইসলাম। পুলিশ গিয়ে ওই অধ্যাপকের গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় লাশ পড়ে থাকে দেখে। পরে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

সাইদ গাফফার কাশিমপুরের পানিশাইল এলাকার মোশারফ মৃধার বাসায় ভাড়া থাকতেন। তিনি সেখান থেকে নিজের নির্মাণাধীন প্রজেক্টের দেখাশোনা করছিলেন। ওই বাসা থেকে আনুমানিক ২০০ গজ দূরে তার লাশটি পাওয়া যায়। এর আগে গত ১২ জানুয়ারি সাইদা গাফফারের নিখোঁজের ঘটনায় তার মেয়ে সাদিয়া কাশিমপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন।

ওসি আরও বলেন, আনোয়ারুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আর্থিক লেনদেন বা পূর্ব শত্রুতার জেরে ওই অধ্যাপককে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে সাউদ ইফখার জহির বাদি হয়ে আনোয়ারুল ইসলামকে আসামি করে কাশিমপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

নিহত সাহিদা গাফফার ছিলেন ঢাবির পুষ্টি বিজ্ঞান বিভাগের সাবেক অধ্যাপক। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বান্ধবী এবং ঢাবির সাবেক অধ্যাপক কিবরিয়া উল খালেকের স্ত্রী।

গত দুই দিন আগে গাজীপুরের কাশিমপুর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন তার মেয়ে সাহিদা আফরিন।

পুলিশ জানায়, অধ্যাপক সাহিদা গাফফার কাশিমপুরের পাইনশাইল এলাকায় একটি বাসায় ভাড়া থেকে ওই এলাকায় অবস্থিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন প্রকল্পে নিজের একটি ফ্লাটে কাজ করাচ্ছিলেন। আনারুল নামের এক রাজমিস্ত্রি কাজ করেন। সাহিদা গফফারের হাত থেকে টাকা ছিনিয়ে নিতে চায় আনারুল। তখন তিনি চিৎকার করলে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে টাকা নিয়ে পালিয়ে যায় সে।

কাশিমপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দীপঙ্কর রায় জানান, অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি আনারুলকে গাইবান্ধা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার আনারুল গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর থানার বুজর্গ জামালপুর গ্রামের আনসার আলীর ছেলে।