অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

নাসিক নির্বাচন: কঠোর নিরাপত্তায় নির্বাচনী সামগ্রী বিতরণ

0
.

বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বহুল আলোচিত নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। নির্বাচনী প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে ইতিমধ্যে ভোট কেন্দ্রগুলোতে ব্যালট পেপারসহ নির্বাচনের আনুষাঙ্গিক সামগ্রী প্রিজাইডিং অফিসারদের নিকট বুঝিয়ে দিয়েছেন রিটার্নিং অফিসার নুরুজ্জামান তালুকদার। র‌্যাব-পুলিশের কঠোর নিরাপত্তায় নির্বাচনী সামগ্রী ভোট কেন্দ্রে পৌঁচ্ছে।

বুধবার সকালে ফতুল্লার চাঁদমারীতে অবস্থিত নাসিক নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে গণনা করে ব্যালট বাক্স এবং নির্বাচনী মালামাল পাঠানো হয়।

নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তারিফুজ্জামান জানান, আমরা ব্যালট ও স্বচ্ছ বাক্স সহকারে নির্বাচনের আনুষাঙ্গিক সামগ্রী ভোটকেন্দ্র পাঠানো শুরু করেছি। এছাড়া বুধবার থেকেই ভোটকেন্দ্র গুলোর নিরাপত্তায় থাকবে পুলিশ ও আনসার সদস্যরা। ১৭৪টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৩৭টিকে ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচেনা করে ভোটের নিরাপত্তা সাজাচ্ছে নির্বাচন কমিশন।

রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান তালুকদার জানান, সুষ্ঠু ভোট আয়োজনে পুরো শহর নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলার পরিকল্পনা নিয়েছেন তারা। এবার নারায়ণগঞ্জে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর প্রায় ৮ সহস্রাধিক সদস্য মাঠে থাকবে।

তিনি বলেন, বিএনপির প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খান ৫৩টি কেন্দ্র অতি ঝুঁকিপূর্ণ বলে উল্লেখ করে আবেদন জানিয়েছিলেন। আমরা ১৩৭টি কেন্দ্রের তালিকা পেয়েছি একটি গোয়েন্দা সংস্থা থেকে। এগুলোকে বিশেষ বিবেচনায় নিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হবে।

নির্বাচন কর্মকর্তারা জানান, শহরের ৮টি, সিদ্ধিরগঞ্জের ১০টি ও শীতলক্ষ্যার পূর্ব তীরে বন্দরের ৯টি ওয়ার্ডকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনী এলাকা। এর মধ্যে সিদ্ধিরগঞ্জের ১০টি ওয়ার্ডের এলাকাকে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনা করে সেখানে বাড়তি ফোর্স মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ২২ প্লাটুন বিজিবি সদস্য নারায়ণগঞ্জে দায়িত্ব পালনের কথা রয়েছে, তার মধ্যে ১০ প্লাটুনই থাকবে সিদ্ধিরগঞ্জে। তারা দুইটি স্থানে অবস্থান নিয়ে টহলে থাকবেন। এছাড়া শহর এলাকায় সাত প্লাটুন ও বন্দর এলাকায় পাঁচ প্লাটুন বিজিবি থাকবে।

এদিকে, বুধবার র‌্যাবের ২৭টি মোবাইল টিম মাঠে নেমেছে। প্রতিটি দলে থাকবেন ১২ জন করে। প্রতিটি ওয়ার্ডে পুলিশের তিনটি করে মোট ৮১টি টিম টহলে থাকবে। প্রতিটি টিমের সদস্য সংখ্যা হবে ১২ জন। নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বৈঠকে পুলিশের সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়। ভোটের সময় শিল্প পুলিশের ২০০ জন সদস্য জেলা পুলিশের সঙ্গে যোগ দেবেন।

উল্লেখ্য, নাসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মনোনীত প্রার্থীসহ ৭টি রাজনৈতিক দলের প্রার্থী, ২৭টি ওয়ার্ডে ১৫৪ জন কাউন্সিলর প্রার্থী ও সংরক্ষিত ৯টি ওয়ার্ডে ৩৮ জন নারী কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।  নাসিকের ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৯৩১ জন। যার মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৩৯ হাজার ৬৬২ জন এবং নারী ২ লাখ ৩৫ হাজার ২৬৯ জন।