অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

অন্ত:সত্তা নারীর পেটে লাথি মেরে গর্ভের সন্তান হত্যা করেছে আওয়ামী সমর্থকরা

0
021
ছবিঃ প্রতীকী

চট্টগ্রামে নির্বাচনী ঘটনার জের ধরে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংর্ঘষ চলাকালে গর্ভবতী এক নারীর পেটে লাথি মেরে পেটের সন্তানকে হত্যা করা হয়েছে।

শুক্রবার বিকালে সিএমপি’র কর্ণফুলী থানাধীন বড় উঠান ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী দিদারুল আলমের সমর্থকদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী শাহাজাহানের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও মারামারি কালে এ ঘটনা ঘটেছে।

জানাগেছে একটি ব্যানার ছেঁড়া কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে এ বিরোধ সৃষ্টি হয়।

প্রতক্ষ্যদর্শী এলাকাবাসীরা জানান, নৌকাপ্রার্থীর সমর্থক আমীর হোসেনকে মারতে তার ঘরে হামলা চালায় বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকেরা। এসময় স্বামীকে বাঁচাতে ছুটে যায় ছয় মাসের অন্ত:সত্তা ফাতেমা খাতুন। বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকেরা গর্ভবতী ফাতেমা খাতুনকে বাঁশ দিয়ে পেটায়। এবং তার পেটে লাথি মারে। এতে গুরুতর আহত হয়ে প্রসব ব্যথায় কাঁতরাতে থাকেন ফাতেমা।

পরে তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শে সেখানেই প্রসব করানো হয় ফাতেমরা। এতে ফাতেমা মৃত বাচ্চা প্রসব করেন। তবে বাচ্চাটি মেয়ে না ছেলে ছিল তা নিশ্চিত করতে পারেনি কেউ।

কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে মারামারি কালে ফাতেমা খাতুন নামের এক অন্ত:সত্তা মহিলা গুরুতর আহত হন। পরে তিনি মৃত বাচ্চা প্রসব করেছেন। আমরা বাচ্চাটিকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮-৯ জন তাদের চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।