অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

বরিশালকে কাঁদিয়ে রেকর্ড তৃতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা

0
.

দ্বিতীয় ইনিংসের ১৭তম ওভার পর্যন্ত মনে হচ্ছিল ম্যাচটি জিততে যাচ্ছে ফরচুন বরিশাল। কিন্তু ১৮তম ওভার করতে এসে পুরো ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিলেন সুনীল নারাইন। এর পরের দুই ওভারে মুস্তাফিজুর রহমান ও শহিদুল ইসলামের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে তৃতীয়বারের মতো বিপিএলের শিরোপা নিজেদের করে নিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।

শেষ ওভারে জয়ের জন্য বরিশালের প্রয়োজন ছিল ১০ রান। বোলিংয়ে আসেন তরুণ পেসার শহিদুল ইসলাম। প্রথম ৫ বলে দেন মাত্র ৭ রান। শেষ বলে বরিশালের দরকার ছিল ৩ রান। উভয় দলের ড্রেসিং রুম, গ্যালারি ও টিভি পর্দার সামনে থাকা দর্শকদের মনে তখন উৎকন্ঠা। বল ডেলিভারি করলেন শহিদুল ইসলাম। কিন্তু সেই বলে মাত্র ১ রান নিতে সক্ষম হয়েছে বরিশাল। তাদের স্কোর থেমেছে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫০ রানে। এতে ১ রানে জয় পেয়েছে ইমরুল কায়েসের দল।

কুমিল্লার জয়ের নায়ক সুনীল নারাইন। ব্যাট হাতে ৫৭ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলার পর বল হাতে নিয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ দুটি উইকেট। ছবি: ইত্তেফাক
কুমিল্লার বোলারদের মধ্যে ৪ ওভারে মাত্র ১৫ রান খরচায় ২ উইকেট শিকার করেন সুনীল নারাইন। এছাড়া তানভীর ইসলাম ২টি এবং মুস্তাফিজুর রহমান ও শহিদুল ইসলাম একটি করে উইকেট নেন। বাকি দুটি রানআউট।

ব্যাটিংয়ে বরিশালের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৮ রান করেন ওয়ানডাউনে নামা সৈকত আলি। মাত্র ৩৪ বলে সাজানো তার ইনিংসটিতে ছিল একটি ছয় ও ১১টি চারের মার। ক্রিস গেইল করেন ৩৩ রান। এই দুই জন যতক্ষণ ক্রিজে ছিলেন ততক্ষণ মনে হচ্ছিল ম্যাচটা সহজেই জিতে যাবে ফরচুন বরিশান। কিন্তু বিধাতা যে অন্য কিছু লিখে রাখছে। ১২.১৫ ওভারে তাদের রান যখন ১০৭, তখন নারাইনের বলে এলবিডব্লিউর শিকার হন গেইল। এর পরই দলটির ছন্দপতন ঘটে।

কেউই দাঁড়াতে পারেননি। নুরুল হাসান সোহান ১৪, সাকিব আল হাসান ৭ ও নাজমুল হাসান শান্ত ১২ রান করেন। শেষ ৩ ওভারে (১৮ বল) বরিশালের প্রয়োজন ছিল ১৮ রান। ১৮তম ওভার করতে এসে মাত্র ২ রান খরচায় এক উইকেট তুলে নেন নারাইন। এর পরের ওভারে মুস্তাফিজের হাতে বল তুলে দেন ইমরুল কায়েস। তখন বরিশালের সামনে সমীকরণ ১২ বলে ১৬ রান। ওই ওভারে ৬ রান খরচায় ১ উইকেট নেন ফিজ। এর পরের গল্পটা কেবল কুমিল্লার।