অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

বেড়াতে গিয়ে মা-মেয়েসহ ৩ জন গণধর্ষণের শিকার

0
.

পাবনার চাটমোহর বান্ধবীর বাসায় বেড়াতে গিয়ে মা-মেয়েসহ তিনজন গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের রামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ গণধর্ষণের শিকার শিশুসহ তিনজনকে বৃহস্পতিবার সকালে উদ্ধার করা করেছে। একই দিন বিকেলে তাদের ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই নারীসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের প্রবাসী সোহেল রানা ওরফে পলুর দ্বিতীয় স্ত্রী সীমা খাতুন গার্মেন্টেসে চাকরির সুবাদে ঢাকার আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকার রনি হোসেনের স্ত্রীর (২৮) সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে।

সম্প্রতি তার মেয়ে (১২) ও একই এলাকার মেহেদী হাসানের স্ত্রীসহ তারা কয়েকদিন আগে চাটমোহরের রামপুর গ্রামে প্রবাসী সোহেলের স্ত্রী সুমির বাড়িতে বেড়াতে আসেন। সোহেলের প্রথম স্ত্রী রোজিনা খাতুন এবং দ্বিতীয় স্ত্রী সীমা খাতুন একই বাড়িতে বসবাস করেন।

বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে অজ্ঞাত ১০-১২ জন দুর্বৃত্ত দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বেড়াতে আসা মা-মেয়ে ও অপর আরেক জনকে তুলে পার্শ্ববর্তী গজারগাড়ী বিলে নিয়ে গণধর্ষণ করে ফেলে রেখে যায়। রাত ১১টার দিকে গণধর্ষণের শিকার তিনজন বাড়িতে ফিরে এসে ঘটনার কথা জানান।

খবর পেয়ে থানা পুলিশ ভোররাতে ধর্ষিত শিশুসহ তিনজনকে উদ্ধার করে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রবাসী সোহেল রানার দুই স্ত্রী রোজিনা ও সীমা খাতুন এবং সাইফুল ও মাসুদ রানা নামক চারজনকে গ্রেফতার করে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য ইউনুস আলী ঘটনার সত্যত্যা স্বীকার করে বলেন, বেড়াতে এসে ধর্ষণের শিকার হওয়ার ঘটনা অমানবিক। এর মধ্যে একটি ১২-১৩ বছরের শিশুও রয়েছে।

চাটমোহর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একরামুল হক সরকার বলেন, শিশুসহ তিনজনকে উদ্ধার করে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাবনা পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় মামলা হয়েছে।

জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রবাসী সোহেল রানার দুই স্ত্রী রোজিনা ও সীমা খাতুন, সাইফুল ইসলাম এবং মাসুদ রানাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের চাটােমহরর থানায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।