আনোয়ারায় মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে অপহরণের চেষ্টাকালে ৩ যুবক আটক
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় একজন মাদ্রাসা অধ্যক্ষকে অপহরণের চেষ্টাকালে ৩ যুবককে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
মিলাদের দাওয়াতের কথা বলে উপজেলার চুন্নাপাড়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আল্লামা মহিউদ্দিন হাশেমীকে অপহরণের চেষ্টা করে এবং হামলা চালায়।
শুক্রবার বিকালে চৌমুহনী চাতুরী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আটক তিন যুবক হলো স্থানীয় বখতিয়ার পাড়া মো. কুতুব (৩০), নগরীর হালিশহর এলাকার সাইদুল ইসলাম ও সাজ্জাদ হোসেন (২৮)। অধ্যক্ষ আল্লামা হাশেমী বাদী হয়ে এ ঘটনায় আনোয়ারা থানায় মামলা দায়ের করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, প্রতি শুক্রবারের মতো চুন্নাপাড়া মুনিরুল উলুম সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আল্লামা মহিউদ্দিন হাশেমী আনোয়ারা উপজেলার চাতুরি চৌমুহনী এলাকার স্থানীয় হাজি বাগিচা জামে মসজিদে জুমার নামাজ শেষ করে মুসল্লিদের সঙ্গে কুশলাদী বিনিময় করছিলেন। এক পর্যায়ে তিন দুবৃত্ত নিজেদের দোকানদার পরিচয় দিয়ে বলেন, হুজুর! আমাদের একটা দোকান উদ্বোধন হবে একটু মিলাদ ও দোয়া পড়তে হবে। তিনি রাজি হয়ে তাদের সঙ্গে চৌমুহনী মোড়ে যেতে না যেতেই তিন দুবৃত্ত মাদ্রাসা অধ্যক্ষকে শারিরিকভাবে আক্রমনের চেষ্টা করে গাড়িতে ওঠানোর জন্য ধস্তাধস্তি শুরু করে।
এক পর্যায়ে বিষয়টি এলাকাবাসীর চোখে পড়ে। ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে হাতেনাতে ধরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।
স্থানীয় সংসদ সদস্য ও ভুমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদ অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে থানা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন । আহত অধ্যক্ষকে উদ্ধার করে আনোয়ারা থানা হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও পরে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
৩ নম্বর রায়পুুর ইউনিয়নের ২ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাজি ওসমান গণি জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দুর্বৃত্তরা এলাকার সর্বজন শ্রদ্ধেয় অধ্যক্ষ আল্লামা হাশেমীকে অপহরণের চেষ্টা চালায়। এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করেন এবং ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন। ঘটনার সঙ্গে চুন্নাপাড়া মাদ্রাসা কমিটির সাবেক ও বর্তমান কিছু দুর্নীতিবাজ প্রভাবশালী লোক জড়িত।
এদিকে এ ঘটনায় এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
আসামীদের দৃষ্টান্তশূলক শাস্তির আওতায় আনা হোক।
দৃস্টান্তমোলক শাস্তি চাই