অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

চমেক হাসপাতালে ঔষধপত্র, রোগীদের খাবার লুটপাট করছে চিকিৎসক নেতার সিণ্ডিকেট

1
.

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক মেয়র এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, চিকিৎসক সমাজ সরকারের স্বাস্থ্য সেবার মূল চালিকা শক্তি। তারা যদি লুণ্ঠনের দুর্বৃত্তায়নের পাপাচারে লিপ্ত হয় তা সহ্য করা হবে না।

তিনি সোমবার নগরীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে স্বাধীনতা চিকিৎসা পরিষদের ২৩তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন।

মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, চিকিৎসকদের পেশাজীবী সমিতিতে পেশী শক্তির উদ্ভব জাতিকে ভাবিয়ে তুলেছে। এই অপশক্তি সরকারের স্বাস্থ্য সেবার অগ্রযাত্রার প্রধান অন্তরায়।

তিনি আরো বলেন, ক্ষমতায় থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার হলে তা হবে দুর্বৃত্তসূলভ। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তা-ই হচ্ছে। এখানে একজন চিকিৎসক নেতার নেতৃত্বে একটি ব্যবসায়িক সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। হাসপতালের ঔষুধপত্র ও রোগীদের খাদ্য তারা লুট করছে। চিকিৎসক কর্মচারীদের নিয়োগ, বদলী ও পদোন্নতি তারাই নিয়ন্ত্রণ করছে। তারা চিকিৎসা সেবা প্রার্থীদের জিম্মি করে ফেলেছে। এরা সরকারি দলের লেবাসে সরকারের ভাবমূর্তিকে ক্ষুন্ন করছে।

মহিউদ্দিন চৌধুরী আরো বলেন, বিএমএ নির্বাচনে চিকিৎসকদের লুটেরা প্যানেলকে জেতানোর জন্য চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ন্যাক্কারজনক ভূমিকা পালন করেছেন। ভোটারদের বদলী ও পদাবনতির হুমকী দিয়ে তিনি ঐ প্যানেলকে ভোট দেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করেছেন। আমি চিকিৎসা সেক্টরে শৃঙ্খলা ও দুর্বৃত্তায়ন মুক্ত করার স্বার্থে তাঁর অপসারণ দাবী করছি। তিনি চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে বলেন, সৎ নেতৃত্ব পেশাগত উৎকর্ষ ও স্বার্থের গ্যারান্টি। শুধু অর্থ বিত্তের জন্য চিকিৎসক হলে কোন চিকিৎসকই বড় মাপে উন্নীত হতে পারবেন না। সরকারি পদে দায়িত্বরত একজন চিকিৎসক একাধিক বেসরকারি হাসপাতালের পরিচালক হওয়া কি ভাবে সম্ভব? অথচ তা-ই হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে সচেতন চিকিৎসকদের জনমত সৃষ্টি করতে হবে।

স্বাচিপ চট্টগ্রামের সভাপতি ডা. শেখ শফিউল আজমের সভাপতিত্বে ও ডা. আ.ন.ম মিনহাজুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলাচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন-ডা. স্বাচিপ চট্টগ্রাম জেলা শাখার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আ.ন.ম ফারুক অর রশীদ, মুক্তিযোদ্ধা ও বিজিসি ট্রাস্ট মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা: জাহিদ হাসান শরীফ, স্বাচিপ চমেক শাখার সদস্য সচিব ডা. নাসির উদ্দিন মাহমুদ, ডা: সাদেকুর রুবেল চৌধুরী, সাবেক সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আবু তৈয়ব, সাবেক সিভিল সার্জন ডা. সরফরাজ খান চৌধুরী বাবুল প্রমুখ।

১ টি মন্তব্য
  1. Md Anwar Lal বলেছেন

    Mans.marar.kosy.kana.