অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

প্রবাসীদের প্রতি সরকারের উদাসীনতার অবসান হোক – আবু সুফিয়ান

0
.

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান বলেছেন, প্রবাসীরা বাচঁলে দেশ বাচঁবে, দেশের অর্থনীতি বাচঁবে ,দেশ উন্নত হবে। দেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি বলা যায় প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সকে। করোনাকালে অর্থনীতি চালিয়ে নিতে রেমিট্যান্সই হয়ে ওঠে আমাদের প্রধানতম ভরসা। অথচ সরকারের দৃষ্টি শুধুমাত্র প্রবাসীদের রেমিটেন্স এর উপর, প্রবাসীদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে সরকার সম্পূর্ন উদাসীন।

তিনি শনিবার (২৩ এপ্রিল) মদিনা প্রাদেশিক শাখা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত দোয়া ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

কূটনৈতিক তৎপরতায় সরকার পিছিয়ে থাকার কারণে মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশে বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা বন্ধ উল্লেখ্য করে আবু সুফিয়ান বলেন, অনেকে ভিজিট ভিসা নিয়ে বিদেশে গিয়ে পুনরায় অধিক টাকা খরচ করে তাদের ভিসা লাগাতে হচ্ছে। লক্ষ টাকা খরচ করে বিদেশে এসে চাকুরী না পেয়ে বর্তমানে হাজার হাজার বেকার যুবক মানবেতর জীবনযাপন করছে। দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোর তুলনায় আমাদের দেশে চড়া বিমান ভাড়ার কারণে অনেক প্রবাসী ভাই দেশে বেড়াতে যেতে পারছেনা। পুরো অভিবাসন খাত আজ চরমভাবে দুর্নীতিগ্রস্থ। প্রবাসীদের প্রতি বাংলাদেশি দূতাবাসগুলোর অসহযোগিতা ও দুর্ব্যবহার নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই। দালালের দৌরাত্ম্য, পাসপোর্ট ও ভিসা জটিলতা, কর্মপরিবেশ ও নিরাপত্তা নিয়ে ভোগান্তি নতুন কিছু নয়। সেখানে যুক্ত হয়েছে মৃত্যুর পর প্রবাসীদের প্রতি অবহেলাও। সরকারের উদাসীনতা ও অবহেলায় বিদেশের মাটিতেই মরতে হচ্ছে তাঁদের। অনেক সময় ক্ষতিপূরণও পাওয়া যায় না। মৃত্যুর পর প্রবাসীর লাশ দেশে আনতেও চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। সরকারের কর্তৃপক্ষের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হয় স্বজনদের। তাই বিদেশে বাংলাদেশের মিশনগুলোকে প্রবাসী কর্মীবান্ধব করার পাশাপাশি তাদের সক্ষমতা বাড়ানো প্রয়োজন। অবিলম্বে প্রবাসীদের প্রতি সরকারের উদাসীনতার অবসান হোক। বিদেশের অগ্রগতিতে তাঁরা অবদান রাখছেন, রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতিকেও সচল রাখছেন ,তাঁদের এমন করুণ দশা আমরা আর দেখতে চাই না।

তিনি আরোও বলেন, বাংলাদেশে আজ এমন এক পরিস্থিতি বিরাজ করছে, যখন দেশে গণতন্ত্র ও বাক-স্বাধীনতা বলতে কিছু নেই। আওয়ামীলীগ দেশকে এদেশকে মগের মুল্লুকে পরিণত করেছে। প্রতিনিয়ত মানবাধিকারের লঙ্ঘন, হামলা, মামলা, গুম ও খুনের শিকার হচ্ছে মানুষ। এদেশে মানুষের জানমালের কোন নিরাপত্তা নেই। মানুষের ভোটাধিকার, বেঁচে থাকার অধিকার ও স্বাধীন মতপ্রকাশের অধিকারসহ সবকিছুই বর্তমান সরকার কেড়ে নিয়েছে। মূলত বাংলাদেশে আজ একটি গণতন্ত্রহীন রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। সরকারের সীমাহীন দুর্নীতি ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে কেউ কোনো কথা বললেই তাকে মামলা দিয়ে, জেলে পাঠিয়ে বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। তাই মাতৃভূমির ভৌগোলিক স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায়, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’ আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন দেশে বিদেশে অবস্থানরত সর্বস্তরের দেশপ্রেমিক নেতাকর্মীকে সে লক্ষে এগিয়ে যেতে হবে। দেশনেত্রীর বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনে , গুম, গুপ্ত হত্যা, নির্যাতন ও মামলা-হামলা উপেক্ষা করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং দেশনায়ক তারেক রহমান এর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে আমাদেরকে উদ্বেলিত আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।

মদিনা প্রাদেশিক বিএনপির আহবায়ক আব্দুল মুমিনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আব্দুল মান্নান এর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সিনিয়র সদস্য আব্দুল গাফফার চৌধুরী , চট্টগ্রাম মহানগরীর ৬নং পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি হাজী আবুল বাশার, মদিনা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আলী হোসেন। আরোও বক্তব্য রাখেন মো. আমিন, নাছির উদ্দিন, ইমাম হোসেন, ইলিয়াছ হোসেন, রিয়াজ আহমেদ,রোমান আহমেদ , স্বাগত বক্তব্য রাখেন যুগ্ম আহবায়ক গোলাম নবী, মো. হিরু, আইয়ুব বাচ্চু প্রমুখ।