অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

পটিয়ায় আ’লীগ নেতাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে পিটিয়েছে দলের নেতাকর্মীরা

0
.

চট্টগ্রামের পটিয়ায় নিজ দলের নেতাকর্মী হাতে শাররিকভাবে লাঞ্চিত হয়েছেন প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা ও হিন্দু বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদ নেতা বাবু জিতেন কান্তি গুহ।

স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত ইফতার পার্টিতে দাওয়াত না দেওয়া এবং ব্যানারে চেয়ারম্যান বিএম জসিমের নাম না দেয়াকে কেন্দ্র করে জিতেন কান্তি গুহকে প্রকাশ্যে সভা থেকে টেনে হিছঁড়ে বের করে এনে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধরের অভিযোগ উঠেছে চেয়ারম্যান ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে। এর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সারাদেশে নিন্দার ঝড় উঠেছে।

আজ শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার হাইদগাঁও ইউনিয়নের ব্রাহ্মণঘাটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। জিতেন কান্তি ওই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি।

.

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হাইদগাঁও ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা শহীদুল ইসলাম জুলু বলেন, ‘গাউছিয়া কমিউনিটি সেন্টারে ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের ইফতার মাহফিল ছিল। মাহফিলে সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী প্রধান অতিথি ছিলেন। ওই অনুষ্ঠানে জিতেন কান্তি গুহ বিশেষ অতিথি ছিলেন। বিকেল ৩টার দিকে আমার সামনেই বিএম জসিম (হাইদগাঁও ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান), সাবেক ইউপি সদস্য ইন্দ্রজিৎ চৌধুরী লিও, মো. সাকিব, ফাহিম মিলে জিতেন কান্তি গুহকে বেদড়ক মারধর করে। প্রথমে তাকে পেটাতে পেটাতে কমিউনিটি সেন্টারের বাইরে নিয়ে যায় তারা। তাকে দোকানের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়। পিটিয়ে হাত ভেঙে দেওয়া হয়। পরে আমরা উদ্ধার করে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেছি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার হাইদগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করে। ইফতারে ইউপি চেয়ারম্যান বিএম জসিমকে দাওয়াত না দেওয়া ও ব্যানারে তার নাম থাকায় ঝামেলার সৃষ্টি হয়। বিকেলের দিকে চেয়ারম্যানসহ তার লোকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে জিতেন গুহকে টেনে হিঁচড়ে বাইরে নিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করে। এ সময় আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতিকেও চেয়ারম্যানের সমর্থকরা গালাগাল করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, জিতেন গুহকে বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় কেউ অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

হামলার বিষয়ে হাইদগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বদরুউদ্দিন মোহাম্মদ জসিম বলেন, এগুলো আওয়ামী লীগের বিষয়। যে মার খেয়েছে সেও আওয়ামী লীগের, যারা মেরেছে তারাও আওয়ামী লীগের। তার ওপর মানুষের ক্ষোভ ছিল। সেজন্য তাকে মারধর করা হয়েছে।

ব্যানারে আপনার (বদরউদ্দিন) নাম না থাকায় আপনার কর্মীরা এ হামলা করেছে, এমন প্রশ্নের জবাবে চেয়ারম্যান বলেন, এগুলো মানুষের কথা। ব্যানারে নাম থাকলেই কি না থাকলেই কি। হামলায় কোনো রাজনৈতিক বিষয় নেই, ব্যক্তিগত বিষয়ে হামলা হয়েছে। ব্যানারের বিষয়টি ১০টি ঘটনার মধ্যে একটি।