অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

সীতাকুণ্ডে দুধের শিশুকে বিক্রি করে দিয়ে মা সাজালেন ছিনতাইয়ের নাটক!

0
.

কামরুল ইসলাম দুলু, সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি:

নিজের ওরশজাত সন্তানকে বিক্রি করে দিয়ে ছিনতাইয়ের নাটক সাজিয়েছিল সীতাকুণ্ডের জেনি আক্তার। অবশেষে ৩ দিনের মাথায় ১৪ দিন বয়সী শিশুটিকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর সিটি গেইট এলাকার একটি বাসা থেকে পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার করেছে।

শিশুর বাবা মোঃ ইয়াসিনের দাবী এটি চুরির ঘটনা নয়। এটি জেনি আক্তারের সাজানো নাটক। স্বামীর এমন বক্তব্য পেয়ে শিশুসহ মা জেনী আক্তারকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের থানায় নিয়ে গেছেন।

আরও খবর : সীতাকুণ্ডে মায়ের কোল থেকে অভিনব কায়দায় শিশু ছিনতাই!

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, জেনি আক্তার তার ১৪ দিনের বাচ্চাটি নগরীর আকবরশাহ থানার সিটি গেইট এলাকায় এক ব্যক্তির কাছে ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দেন। তার আগের বাচ্চার বয়স ১৬ মাস। এরি মধ্যে জন্ম নিল দ্বিতীয় বাচ্চা। অভাবের সংসার তার উপর মার বয়স ২০ বছর। এসব কারণে প্রতিবেশীরা নানা কথা শোনাতে থাকে। আর তাতে করেই মানষিকভাবে চিন্তিত ছিল জেনি। তাই নিজের ১৪ দিন বয়সের বাচ্চাকে অন্যকে দিয়ে থানায় শিশু ছিনতাইয়ের অভিযোগ দায়ের করেন জেনি।

সাজানো ঘটনায় জেনি দাবী করেছিলেন, গত ১৬ মে রবিবার ১৪ দিন বয়সের শিশু পুত্রকে ডাক্তার দেখাতে গিয়ে গাড়ির জন্যে রাস্তায় অপেক্ষা করছিলেন মা জেনি আক্তার। এসময় একটি সিএনজি অটোরিকশা এসে দাঁড়ায় তার সামনে। গাড়িটিতে উঠে দেখেন সেখানে এক নারী। সীতাকুণ্ডের জোড়আমতল থেকে ভাটিয়ারী যাওয়ার পথে ঔই নারী জেনি আক্তারের মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলেন, আপনার বাচ্চাটাতো সুন্দর, একথা শুনার পর আর কিছু মনে নাই জেনি আক্তারের। এরপর জেনি আক্তারকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দিয়ে বাচ্চা নিয়ে চম্পট ওই নারী।

এ অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ শিশুর সন্ধ্যানে তদন্ত শুরু করলে আসল ঘটনা বেরিয়ে আসে পুলিশ জানতে পারে মা জেনি নিজেই ১৪ দিনের দুধের বাচ্চাকে অন্যের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন।।

পরে জেনি তথ্যমতে নগরীর আকবর শাহ থানার পুলিশের সহায়তায় সিটি গেইট সংলগ্ন একটি বাসা থেকে বাচ্চাটিকে উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধার হওয়া শিশুর পিতা মো. ইয়াসিন বলেন, আমার বাড়ি খুলনার বাগেরহাটে। পেশায় আমি একজন অটোরিক্সা চালক। বাচ্চা ভুমিষ্টের সময় হওয়াতে স্ত্রীকে কিছুদিন আগে সীতাকুন্ডে বাবার বাড়িতে পাঠাই আমি। যেন সুস্থভাবে বাচ্চা প্রসব করে সে। কিন্তু কি কারণে আমার স্ত্রী এই ঘটনা ঘটিয়েছে আমার বোধগম্য হচ্ছেনা।

সীতাকুণ্ড থানার এসআই নোমান বলেন, ঘটনার তদন্ত চলছে। উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।