অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

বাকলিয়ায় কিশোরী ও কোতোয়ালীতে ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

0
.

চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়াতে এক কিশোরী এবং কোতোয়ালীতে এক ব্যবসায়ীর পৃথক ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

তারা হলেন- লিজা আক্তার (১৭) ও ব্যবসায়ী মো. খলিল মৃধার (৪৮)।

পুলিশ জানায়, আজ মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে বাকলিয়া থানার মিয়াখান নগর ময়দার মিল এলাকায় নিজ বাসায় গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত অবস্থায় কিশোরী লিজা আক্তার (১৭) এর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই কিশোরীর পরিবারের দাবী সে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। তবে কি কারণে আত্মহত্যা করেছে তা বলতে পারেনি পরিবার। লিজা ওই এলাকার মো. এরশাদের মেয়ে।

নিহতের বড় ভাই আকাশ বলেন, দুপুর ১টার দিকে রুমে ঢুকে দেখি লিজা ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে। তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।

পাঁচলাইশ থানার ওসি (তদন্ত) সাদিকুর রহমান বলেন, ওই কিশোরীকে পরিবার মুমূর্ষ অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরিবারের লোকজনের বরাতে আত্মহত্যা বলে জানা গেছে। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।

এদিকে কোতোয়ালীতে থানা এলাকায় বাসা থেকে এক লবণ ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ দুপুরে ভাড়া বাসার দরজা ভেঙ্গে পুলিশ ব্যবসায়ী মো. খলিল মৃধার (৪৮) তার লাশ উদ্ধার করে।

খলিল মৃধা চাকতাই ওমর আলী মার্কেটের মৃত হাফিজুর রহমানের ছেলে। তিনি তার মেয়ের জামাইকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাচেলর বাসায় থাকতেন।

পুলিশ জানায়, খলিল মৃধা পেশায় লবণ ব্যবসায়ী ছিলেন। তবে তার মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাযনি।

কোতোয়ালী থানার এস আই বোরহান উদ্দিন বলেন, স্থানীয় প্রতিবেশিরা দুপুর ২টা পর্যন্ত তার কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে কোতোয়ালি থানায় যোগাযোগ করে। ঘটনাস্থলে গিয়ে রুমের দরজা ভেঙ্গে ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়। পরবতীতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।