অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

কোন বিভাজনের রাজনীতি করতে চাই না: ডা. শাহাদাত

0
.

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, বিএনপি কোন বিভাজনের রাজনীতি করতে চায় না। বিভাজনের রাজনীতি করে বাংলাদেশে কেউ টিকে থাকতে পারেনি। যারা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে কটুক্তি করেছে ও পাশাপাশি টুপ করে ফেলে দেয়া এ ধরণের রাজনীতি করছে তাদেরকে বলতে চাই; আপনাদের পায়ের নিচে মাটি সরে গেছে। জনগণ আপনাদের আর ক্ষমতার মসনদে দেখতে চায় না। অনতিবিলম্বে জনগণের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে নিরদলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন। অন্যথায় শ্রীলংকার উদাহরণ আমাদের কাছে রয়েছে। আমরা চাই না শ্রীলংকার পরিণতি আপনাদের হোক।

তিনি আজ শুক্রবার (২৭ মে) দুপুরে, হাটহাজারী থেকে বারবার নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য ও সাবেক হুইপ এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন এর উপদেষ্টা মরহুম সৈয়দ ওয়াহিদুল আলমের ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে উপজেলার চিকনদণ্ডী ইউনিয়নের লালিয়ারহাটস্থ তাঁর গ্রামের বাড়িতে আয়োজিত স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

.

হাটহাজারী উপজেলা, পৌরসভা ও বায়েজিদ (আংশিক) বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠন আয়োজিত উক্ত স্মরণ সভায় চাকসু ভিপি মো. নাজিম উদ্দীনের সভাপতিত্বে ডা. শাহাদাত হোসেন আরও বলেন, প্রয়াত নেতা সৈয়দ ওয়াহিদুল আলম ঐক্যের রাজনীতির জন্য তিনি সর্বদাই চেষ্টা করে গেছেন। ওনি সব সময় তার বক্তব্যে একটা কথা বলতেন, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে, হাতে হাত রেখে ঐক্যবদ্ধভাবে আমাদেরকে রাজনীতি করতে হবে। তিনি জীবদ্দশায় তাঁর রাজনৈতিক জীবনে অসহিংস ও সম্প্রীতির রাজনীতি প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি তিনি বিএনপি’র জন্য অনেক কিছু করে গেছেন, যা বর্তমানে রাজনীতিবিদদের কাছে বিরল। এছাড়া তাঁর কন্যা ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানা ২০১১, ২০১২, ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে চট্রগ্রামে বিএনপির বিরুদ্ধে যতগুলো মামলা হয়েছে সব মামলা দায় দায়িত্ব নিয়ে হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন করেছিলেন।

হাটহাজারী উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব সোলায়মান মঞ্জুর সঞ্চালনায় এতে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হুম্মাম কাদের চৌধুরী। তিনি বলেন, ডাঃ শাহাদাত হোসেন আমাদের যে সাহস দিয়েছেন, সেই সাহস নিয়েই আন্দোলন সংগ্রামে আমরা আপনার পাশে থাকবো। সাবেক হুইপ সৈয়দ ওয়াহিদুল আলম চাচা ছিলেন এই এলাকার মানুষের জন্য জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ। হাটহাজারীতে তিনি অনেক উন্নয়ন করেছে। যার প্রেক্ষিতে হাটহাজারীর মানুষ এখনো উনার পরিবারের সাথে আছে।

সভাপতির বক্তব্যে চাকসু ভিপি নাজিম উদ্দিন বলেন, সাবেক হুইপ সৈয়দ ওয়াহিদুল আলম এর মেয়ে ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানা রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্রের শিকার । তার একটি দোষ ছিল সে তার বাবার মত মানুষের কল্যাণে কাজ করেছে এবং বিএনপি’র নেতাকর্মীদের মামলা মোকদ্দমা থেকে জামিন করিয়ে ছিল। সে কারণে আজ তাকে দেশ ছাড়তে হয়েছে।

সাবেক হুইপ সৈয়দ ওয়াহিদুল আলম এর স্মরণ সভা শেষে তার সুযোগ্য কন্যা ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানা শোকসভায় আগত সকল অতিথি ও হাটহাজারী এলাকার জনসাধারণের স্মরণসভায় আসার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ভিডিও কনফারেন্সে বক্তব্যে তিনি বলেন, বাবার আদর্শকে ধারণ করে আমার বাবা যেভাবে আপনাদের পাশে ছিল, আমিও আজীবন হাটহাজারী বাসির পাশে থাকার দৃঢ় প্রত্যয় করছি এবং আমার পরিবারের জন্য সকলে কাছে দোয়া কামনা করছি।

এছাড়া বিশেষ অতিথি কেন্দ্রীয় মহিলা দলের যুগ্মসম্পাদক ফাতেমা বাদশা, নগর মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক জেলী চৌধুরী, জেলা বিএনপি’র সদস্য ইন্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপি’র সরোয়ার আলমগীর, সদস্য শওকত আলী নূর সদস্য চট্টগ্রাম উত্তর জেলা। রাউজান উপজেলা বিএনপির যুগ্মআহ্বায়ক ফিরোজ মেম্বার। এডভোকেট ফোরকান, আবুল হোসেন চেয়ারম্যান, সৈয়দ মহসিন, গাজী ইউসুফ, অধ্যাপক ফজলুল কাদের, শাহাদাত হাটহাজারী উপজেলা বিএনপি। গিয়াসউদ্দিন, ইলিয়াছ আলী, সৈয়দ ইকবাল সহসভাপতি উত্তর জেলা যুবদল। জাহেদ আলী, সরোয়ার জাহান পুতুল যুগ্মসম্পাদক উত্তর জেলা যুবদল। ইয়াছিন সহসাধারণ সম্পাদক জেলা যুবদল, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মুবিন মার্চেন্ট, ইকবাল চৌধুরী সহসাংগঠনিক সম্পাদক জেলা যুবদল, মোঃ একরাম প্রচার সম্পাদক জেলা যুবদল, আশিক উল্লাহ সহ সম্পাদক উত্তর জেলা যুবদল, জুয়েল খাঁন সহ সম্পাদক উত্তর জেলা যুবদল। সাফাইতুল ইসলাম সাবাল সিঃসহসভাপতি চট্টগ্রাম উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল। মোঃ সেলিম সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক, হাটহাজারী উপজেলা যুবদল। মাইনুদ্দীন মঈনু, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক হাটহাজারী পৌরসভা যুবদল। আব্দুর রাজ্জাক, আবু জাফর, আনিসুল ইসলাম, ইয়াহিয়া জিয়া, মোঃ ফোরকান চৌঃ, রায়হান রিজবী, ইকবাল টিটু, মিরাজুল ইসলাম নিশাত, সাকিব রায়হান, মোঃ দেলোয়ার সাধারণ সম্পাদক, ইউসুফ তালুকদার যুগ্ন সম্পাদক, ওয়াসিম রেজা, মোবাস্সের, মোজাম্মেল শাহ, মৎসজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক মোজাহের হোসেন, জেলা মহিলা দল নেত্রী মাহফুজা ইউসুফ, প্রফেসার ফজলুর রহমান, আলমগীর সওদাগর, তাহের, রাশেদুল ইসলাম, মোজাহের মিয়া, নুরুল আলম মেম্বার, রফিক মেম্বার, সাবের মেম্বার, মোঃ আলী মেম্বার, বাদল, মোঃ মোরশেদ, কাজী জাহাঙ্গীর, কাইয়্যুম মেম্বার, আবু বক্কর সোহেল, শফি ভান্ডারী, এম জি কিবরিয়া, শওকত ওসমান, তাজুল ইসলাম, রাজ্জাক, আনোয়ার, রবেল, জাহেদ, সম্রাট, রাশেদুল ইসলাম, হুজ্জাত, শফিউল আজম, মোঃ মিজান, শফিকুল ইসলাম বাবু, মনসুর, কাজী হেলাল, আরাফাত হোসেন, মিরাজ মন্জু, তারেক জিয়া, মুন্না, মারুফ, মুন্না, নওশাদ, হোসেন, বাদল, বেলাল, সাগর, মিনহাজ মাসুম বাবু, মোজাম্মেল, বাচ্চু, রবিউল ইসলাম, রাশেদুল ইসলাম, বদিউল আলম বদি, ফরিদ, তারেক, তুহিন, আতিক, মাসুদ, রোকন, রুবেল প্রমুখ উপজেলা ও পৌরসভা ছাত্রদল ও যুবদলের প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

এর আগে সকাল থেকে প্রয়াত নেতা সৈয়দ ওয়াহিদুল আলমের গ্রামের বাড়িতে দোয়া মাহফিল আয়োজন ও কোরআন খতম, মিলাদ এবং বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।