বীচ কার্নিভাল কি জানেন না কক্সবাজারবাসি। প্রচারণা ছাড়াই যেনতেন ভাবে কক্সবাজারে শুরু হয়েছে ৩ দিন ব্যাপী বীচ কার্নিভাল। ৩০ ডিসেম্বর বিকালে কক্সবাজার দীর্ঘতম সৈকতের সী-ইন পয়েন্টে জরাজীর্ণ কার্নিবভালের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বীচ কার্নিভাল আয়োজন প্রশ্নবিদ্ধ। এনিয়ে চরম হতাশ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ জেলাবাসি। কোন কার্নিভাল আয়োজনের একমাস আগে থেকেই দেশব্যাপী প্রচারণা করা দরকার ছিল। কিন্তু তাড়াহুড়ো করে কেন এই কার্নিভালে আয়োজন? কেনইবা ব্যাপকভাবে প্রচার করা হয়নি। এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় বক্তারা সহ সচেতন মহলে।
বক্তারা হতাশা প্রকাশ করে আরো বলেন, সরকার পর্যটন শিল্প বিকাশে ২০১৬ সালকে পর্যটন বর্ষ ঘোষণা করেছে। এর লক্ষ্য হলো বিশ্বজুড়ো কক্সবাজারসহ বাংলাদেশের পর্যটন শহরকে ব্যাপকভাবে সুপরিচিত করা। কিন্তু কার্নিভাল ইভেন্টস এর নামে প্রচারণাহীন এই আয়োজন পর্যটন শিল্প বিকাশে উল্টো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। অনুষ্ঠানে গুঞ্জন উঠে, কার্নিভাল ইভেন্টস এর নেপথ্যে কারা জড়িত এটাও সবার কাছে সুষ্পষ্ট নয়। একটি চক্র পর্যটন কর্পোরেশনের নাম ব্যবহার করে কার্নিভালের নাম দিয়ে কোটি টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে প্রশ্নবিদ্ধ বীচ কার্নিভাল করছে। ওই চক্রের সদস্যদের পকেটে পকেটে কার্নিভালে টাকা ভাগবাটোয়ারা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া অনুষ্ঠানে নেই দেশের কোন খ্যাতনামা ব্যক্তিত্ব ।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোঃ আলী হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, কক্সবাজার সদর-রামু আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কামাল। উদ্বোধকের বক্তব্য রাখেন, মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান ড. অপরূপ চৌধুরী, যুগ্ন সচিব মোঃ মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শ্রম ও কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার নাথ, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান ও কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু তাহের।
উপস্থিত অতিথিদের মাঝেও ৩দিনের বীচ কার্ণিভাল আয়োজন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখাগেছে।