অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

সাংবাদিক অমিত হাবিব আর নেই

0
.

দৈনিক দেশ রূপান্তর পত্রিকার সম্পাদক, প্রখ্যাত সাংবাদিক অমিত হাবিব আর নেই। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। দেশ রূপান্তর পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার রাত ১১টার পরে ওই হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে অমিত হাবিবকে গত ২১ জুলাই বিকেলে রাজধানীর পান্থপথের বিআরবি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) নেওয়া হয়।

দেশ রূপান্তরের নির্বাহী সম্পাদক মোস্তফা মামুন বলেন, শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় গত তিন দিন আগে অমিত হাবিবকে বিআরবি হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থা আরও খারাপ হলে তা‌কে নিউরোসাইন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখা‌নে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাত এগা‌রোটার পর তিনি মারা যান।

গত ২১ জুলাই স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় অমিত হাবিবকে। অফিস চলাকালে তিনি স্ট্রোক করেন। এর আগেও তিনি একবার স্ট্রোক করেছিলেন বলে জানা গেছে।

১৯৮৭ সালে খবর গ্রুপ অব পাবলিকেশন্সে একই সঙ্গে রিপোর্টার ও সাব-এডিটর হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন অমিত হাবিব। পরে সাপ্তাহিক পূর্বাভাস পত্রিকায় সাব-এডিটর পদে যোগ দেন তিনি। ১৯৯১ সালে দৈনিক আজকের কাগজ পত্রিকায় সিনিয়র সাব-এডিটর হয়ে যোগ দেন। এর পরের বছর একই পদে দৈনিক ভোরের কাগজে যোগ দেন। পদোন্নতি পেয়ে ওই পত্রিকার যুগ্ম বার্তা সম্পাদক ও পরে বার্তা সম্পাদক হন তিনি।

২০০৩ সালে দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকায় প্রধান বার্তা সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন খ্যাতিমান এই সাংবাদিক। ২০০৬ সালে পত্রিকাটি বাজারে আসে। ২০০৭ সালে চীনের আন্তর্জাতিক বেতারে বিদেশি বিশেষজ্ঞ হিসেবে যোগ দিয়ে পেইচিংয়ে কর্মরত থাকা অমিত হাবিব দেশীয় সাংবাদিকতার সঙ্গে দূরত্বের কথা বিবেচনায় তা ছেড়ে দেশে ফিরে আসেন।

পরের বছর দৈনিক সমকালে প্রধান বার্তা সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন তিনি। দৈনিক সমকালের প্রধান বার্তা সম্পাদকের পদ ছেড়ে ২০০৯ সালে কালের কণ্ঠে নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। পরে ২০১৩ সাল থেকে উপদেষ্টা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন অমিত হাবিব। সবশেষ ২০১৭ সালে দৈনিক দেশ রূপান্তরের সম্পাদক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন তিনি।