রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় এক কলেজছাত্রীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ‘দলবদ্ধ’ ধর্ষণের অভিযোগে উঠেছে দুই ছাত্রলীগ নেতাসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে থানায় মামলা হয়েছে। এঘটনার পর দলীয় শৃঙ্খলা পরিপস্থী কার্যকলাপে জড়িত থাকার দায়ে অভিযুক্ত ওই দুই ছাত্রলীগ নেতাকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে উপজেলা ছাত্রলীগ।
পুলিশ জানিয়েছে, আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মামলার আসামিরা হলেন— বিপ্লব বড়ুয়া (২৬), যিশু চৌধুরী (২৭), মো. রাসেল (২৯), মো. আরিফ (২৬) ও অমল বড়ুয়া (৪৫)। এদের মধ্যে যিশু চৌধুরী উপজেলার ৩৫ নম্বর বঙ্গলতলী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি এবং বিপ্লব বড়ুয়া একই ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক।
পুলিশ ও মামলার এজাহারে সূত্রে জানা গেছে, গত ১৫ জুলাই রাত আনুমানিক ৯টার দিকে ১ নম্বর আসামি বিপ্লব বড়ুয়া পূর্বপরিচয়ের সূত্র ধরে ধর্ষণের শিকার কলেজছাত্রীকে জরুরি আলাপ আছে বলে বাড়ির বাইরে ডেকে নিয়ে যায়। ওইদিন রাতে ভুক্তভোগী কিশোরী ঘরে না ফিরলে তাকে খোঁজাখুজি শুরু করেন পরিবারের সদস্যরা।
পরদিন ১৬ জুলাই ভোররাতে ওই কলেজছাত্রী বাড়ি ফিরে এসে জানায়, আসামি বিপ্লব বড়ুয়া ডেকে নেওয়ার পর অন্য আসামিরাসহ তাকে মুখচেপে ধরে জোরপূর্বক সারারাত ধর্ষণ করে।
শুক্রবার (৫ আগস্ট) রাতে ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে বাঘাইছড়ি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
বাঘাইছড়ির থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন খাঁন জানান, ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এদিকে, উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক সানি দে ও যুগ্ম আহ্বায়ক শরিফুল ইসলামের সবুজ সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপস্থী কার্যকলাপে জড়িত থাকায় ছাত্রলীগের গঠণতন্ত্রের ১৭ এর (খ) ধারা মোতাবেক যীশু চৌধুরী (সভাপতি) ও বিপ্লব বড়ুয়াকে (সাধারণ সম্পাদক) ৩৫ নম্বর বঙ্গলতলী ইউনিয়ন ছাত্রলীগ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়।
এতে আরও বলা হয়, কিশোর ধরকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও মো. জনি খাঁনকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব প্রদান করা হল।