অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

কোটি টাকা চাঁদাবাজি মামলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি দেবুসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন

0
.

চট্টগ্রামে ভবনের সময় ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানের কাছে এক কোটি টাকা চাঁদাবাজির মামলায় মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি দেবাশীষ নাথ দেবুসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেছে আদালত।এর মধ্য দিয়ে চাঁদাবাজির ওই মামলার বিচার কাজ আনুষ্ঠানিক শুরু হয়েছে।

আজ রবিবার (২১ আগস্ট) পঞ্চম অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ নারগিস আক্তারের আদালত এই মামলার চার্জ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন।

আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তসলিম উদ্দীন চার্জ গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পাঁচলাইশ থানার ভবন নির্মাণের সময় কোটি টাকার চাঁদাবাজির মামলায় দেবাশীষ নাথ দেবু মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করলেও শুনানি শেষে তার আবেদন নামঞ্জুর করে চার্জ গঠনের আদেশ দেন বিচারক।

চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি দেবাশীষ নাথ দেবু ছাড়া ওই মামলায় অভিযুক্ত আসামিরা হলেন— এটিএম মঞ্জুরুল ইসলাম রতন, আবু নাছের চৌধুরী আজাদ, একেএম নাজমুল আহসান, মো. ইদ্রিস মিয়া ও মো. ইমরান হোসেন জিয়া।

এর আগে ২০১৮ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারী এই চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে জেল খাটেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি দেবাশীষ নাথ দেবু, এটিএম মঞ্জুরুল ইসলাম রতন। পরে তারা জামিন পেয়ে বেরিয়ে যান।

আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পাঁচলাইশ থানার পূর্ব নাসিরাবাদ এলাকায় একটি পুরনো ভবন কেনার পর সেটি ভেঙে নতুন ভবন তৈরির চেষ্টা করছিলেন একই এলাকার বাসিন্দা বন্ধন নাথ। ২০১৬ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি ডিজাইন সোর্স টিম লিমিটেড নামে একটি ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানকে ভবন তৈরির দায়িত্ব দেন। কাজ শুরু করার পর ৯ ফেব্রুয়ারি পাঁচলাইশ থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা দেবাশীষ নাথ দেবুর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী তাদের কাছে এক কোটি টাকা চাঁদাদাবি করে। এতে অস্বীকৃতি জানালে তারা বন্ধনকে মারধর করে। একপর্যায়ে তার পিঠের ডান পাশে গুলি করে গুরুতর জখম করে বলে অভিযোগ করেন বন্ধন নাথ। পরে বাধ্য হয়ে তাদের ৭০ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু এতেও ক্ষান্ত হননি দেবুর নেতৃত্বে আসা সন্ত্রাসীরা। ২০১৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি আরও ৩০ লাখ টাকা দেওয়ার জন্য বন্ধন নাথের ওপর চাপ প্রয়োগ করেন সন্ত্রাসীরা।

এতে নিরুপায় হয়ে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি পাঁচলাইশ থানায় দেবু ও তার অনুসারিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন তিনি। ওই বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি দেবাশীষ নাথ দেবু ও তার সহযোগী এটিএম মঞ্জুরুল ইসলাম রতনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মামলায় দেবাশীষ নাথ দেবুকে প্রধান আসামি করে ৬ জনের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর পাঁচলাইশ থানার তৎকালীন পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ ওয়ালী উদ্দিন আকবর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।