অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

“মিতু হত্যায় ৩ লাখ টাকায় খুনি ভাড়া করেছিল বাবুল আকতার”

0
বাবুল আকতার ও মিতু।

বিদেশি এক নারীর সঙ্গে পরকীয়ার জড়িয়ে স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে হত্যা করেছে সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আকতার। এজন্য বাবুল ৩ লাখ টাকা দিয়ে খুনি ভাড়া করেন।

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত রিপোর্ট এ তথ্য উঠে এসেছে। তদন্ত গুছিয়ে এনেছে অভিযোগপত্র প্রস্তুত করা হয়েছে।ইতোমধ্যে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মামলার সাক্ষ্যস্মারকে (এমওই) সইও করেছেন।

তদন্ত সংস্থা পিবিআই সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

বাবুল আকতারের বিদেশি প্রেমিকা গায়ত্রী অমর সিং ।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক আবু জাফর মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, মিতু হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদনের সাক্ষ্য স্মারক রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মহানগর পিপি মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরীর কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করা গেছে।

তদন্তে পাওয়া তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থায় কর্মরত বিদেশি নাগরিক এক নারীর সঙ্গে বাবুলের পরকীয়ার জড়িয়ে পড়া নিয়ে তাদের সংসারে অশান্তি শুরু হয়। এর জেরে বাবুল আক্তার স্ত্রীকে খুনের সিদ্ধান্ত নেন। এবং তিন লাখ টাকায় ‘খুনি’ ভাড়া করে স্ত্রীকে খুন করান। নিজেকে আড়ালে রাখতে প্রচার করেন- জঙ্গিরাই মিতুকে খুন করেছে। মিতুকে খুনের মিশনে নেতৃত্ব দিয়েছে পুলিশ কর্মকর্তা বাবুলের ‘সোর্স’ মো. কামরুল ইসলাম শিকদার মুসা। সঙ্গে ছিল আরও ছয়জন। হত্যাকাণ্ডের পর বাবুল মুসাকে ফোনে নির্দেশ দেন- গা ঢাকা দেওয়ার জন্য।

অভিযোগপত্রে বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করা হয়েছে, যিনি এই মামলার বাদী। বাকি ছয় আসামি হলো- মো. কামরুল ইসলাম শিকদার মুসা, এহতেশামুল হক প্রকাশ হানিফুল হক প্রকাশ ভোলাইয়া, মো. মোতালেব মিয়া ওয়াসিম, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. খাইরুল ইসলাম কালু এবং শাহজাহান মিয়া।

পিবিআই প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক বনজ কুমার মজুমদার বলেন, ‘তদন্ত প্রায় শেষ। অভিযোগপত্র প্রস্তুত করা হচ্ছে। তবে আদালতে দাখিল করতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে।

উল্লেখ্য- ২০১৬ সালের ৫ জুন ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে গিয়ে চট্টগ্রাম মহানগরীর জিইসি মোড়ে যাওয়ার সময় ও আর নিজাম রোড এলাকায় খুন হন মাহমুদা খানম। এ ঘটনায় ওই বছরের ৬ জুন জঙ্গিরা জড়িত দাবি করে বাবুল আকতার পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে পিবিআই গত বছরের ১২ মে এ মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। ওই দিনই মিতুর বাবা পাঁচলাইশ থানায় আরেকটি মামলা করেন। সেই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন বাবুল আক্তার। পরে আদালতের নির্দেশে বাবুলের মামলাটি সচল হয় এবং মিতুর বাবার মামলায় পিবিআই চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। এরপর দুই মামলার নথি একীভূত করে তদন্তের আদেশ দেন আদালত।