বাঁশখালীর দুর্গম পাহাড়ে অস্ত্রের কারখানা থেকে ১০টি আগ্নেয়াস্ত্রসহ কারিগর গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামের বাঁশখালীর চাম্বলের দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। সেখানে অভিযান চালিয়ে দশটি অস্ত্র এবং অস্ত্র তৈরির বিপুল পরিমাণ সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় অস্ত্র তৈরির মূলকারিগর জাকির হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার (৩০ আগস্ট) উপজেলার দুর্গম পাহাড় থেকে ওই অস্ত্র ও এর মূলকারিগরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ঘটনাস্থলে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র তৈরির সরঞ্জামাও জব্দ করা হয়েছে।
র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এম এ ইউসুফ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বাঁশখালী উপজেলার দুর্গম পাহাড়ে আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান পাওয়া গেছে। এ সময় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম ও ১০ অস্ত্রসহ এর মূলকারিগরকে গ্রেপ্তা করা হয়েছে।
অভিযানের বিষয়ে আজ বুধবার দুপুরে র্যাব-৭ এর চাঁন্দগাও কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক লে. কর্নেল এম এ ইউসুফ বলেন, দেশিয় উপকরণ দিয়ে তৈরী এসব অস্ত্রের সঙ্গে ৩টি চক্র জড়িত। এক গ্রুপ অস্ত্র বানায়, অপর গ্রুপ বিক্রি করে (দালাল চক্র) এবং ক্রেতা।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তারকৃত জাকিরের দেয়া তথ্যমতে এসব অস্ত্র ক্রেতা ৩ শ্রেণীর, তারা হল মাদক ব্যবসায়ী, সাগরের জলদস্যূ ও মহাসড়কে পরিবহণে ডাকাত চক্র। স্থানীয় উপকরণ দিয়ে তৈরী েএসব অস্ত্র বানাতে প্রকার ভেদে খরচ পড়ে দেড় থেকে দুই হাজার টাকা। দালালদের চাহিদা মত তৈরী এসব অস্ত্র বিক্রি করা হয় ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা। আর দালালারা এক একটি অস্ত্র ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা করে।
র্যাব প্রধান জানান, দুর্গম পাহাড়ে তৈরী করা এসব অস্ত্র বিগত নির্বাচনে ব্যবহার হয়েছে কিনা বা আগামী নির্বাচনে ব্যবহার হবে কিনা এসব বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে।