অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

কারাগারে বাবুল আক্তারের কক্ষ তল্লাশীর অভিযোগ ফেনীর ওসির বিরুদ্ধে

0
.

স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ও ফেনী কারাগারে বন্দি সাবেক পুলিশ এএসপি বাবুল আক্তারের কক্ষে ফেনী থানার ওসি কর্তৃক তল্লাশীর অভিযোগ তুলে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে আদালতের কাছে আবেদন করেছেন।

সোমবার বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. জেবুন্নেছা বেগমের আদালতে বাবুল আক্তারের পক্ষে এই আবেদন করেন তার আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ।

তবে কারাগারে বাবুল আক্তারের কক্ষে অভিযোগ অস্বিকার করেছেন ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন।

বাবুলের আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ জানান, তাকে (বাবুলকে) মানসিক চাপে রাখতেই এ ধরনের কাজ করা হচ্ছে। কারাগারের অভ্যন্তরে একজন পুলিশ কর্মকর্তা প্রবেশ করে কিভাবে একজন হাজতির কক্ষে তল্লাশি চালান তা বিস্ময়কর।

তিনি জানান, বাবুল আক্তার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদারসহ ৬ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করার পর গত শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন ফেনী কারাগারে প্রবেশ করেন। কারাগারে বাবুল আক্তারের কক্ষে দীর্ঘ সময় ধরে তল্লাশি করেন। কারাগারে তার প্রবেশের চিত্র সিসিটিভি ক্যামেরা যাচাই করলেই নিশ্চিত হওয়া যাবে। জেল কোড অনুসারে থানায় কর্মরত একজন পুলিশ কর্মকর্তা কোনভাবেই জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং আদালতের লিখিত অনুমতি ছাড়া জেলখানায় প্রবেশ করতে পারেন না। জেল কোড অনুসারে এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

অ্যাডভোকেট গোলাম মাওলা মুরাদ আরও বলেন, এই ঘটনার তদন্ত ও বাবুল আক্তারের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ফেনী কারাগারের সুপারকে নির্দেশ প্রদানের আবেদন করা হয়েছে। আদালত শুনানি শেষে আদেশ দিবেন।

এদিকে ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন মুঠোফোনে ইউএনবিকে বলেন, আমি হলফ করে বলতে পারি আমি বাবুল আক্তরের কক্ষ তল্লাশী করতে যাইনি। এটা আমার এখতিয়ারেও পড়ে না। নিয়ম বহির্ভুতভাবে কারাগারে গিয়ে কোন কোন আসামীর কক্ষ আমি তল্লাশী করতে পারি না। তবে তিনি জানান, অন্য একটা মামলার বিষয়ে গতকাল তিনি ফেনী কারাগারের জেল সুপারে অফিসে গিয়েছিলেন সেটা বাবুল আক্তরের বিষয় ছিল না।