অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

অতি উৎসাহি পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে: ডা. শাহাদাত

0
.

মুন্সিগঞ্জে পুলিশের গুলিতে নিহত যুবদল নেতা শহিদুল ইসলাম শাওনের গায়েবানা জানাজায় অংশ নিয়ে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, বিএনপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশের যে সমস্ত অতি উৎসাহী কর্মকর্তা গুলি করে মানুষ হত্যা করছে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে তাদের বিচার আন্তর্জাতিক আদালতে হবে।

তিনি বলেন, এই সরকারের আর কত রক্ত দরকার। আর কত রক্ত দিলে এই স্বৈরাচারী সরকারের দুঃশাসন থেকে বিদায় নিবে। আজকে দেশের মানুষের কোন অধিকার নাই। সামান্য ব্যানার নিয়ে মিছিল করলেই বাধা দিয়ে গুলি করা হচ্ছে। অথচ সভা সমাবেশ করা আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ দিয়ে গুলিবর্ষণ করে এই ফ্যাসিবাদী সরকার জানান দিয়েছে, তারা নির্যাতন করে আন্দোলন দমন করতে চায়। সমাবেশে নিজেরা গুলি করে উল্টো আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দিচ্ছে। কিন্তু এখন থেকে তাদের বিরুদ্ধে আমরাও পাল্টা মামলা করবো।

তিনি আজ শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বাদে জুমা নগরীর কাজীর দেউরী নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি ও যুবদলের উদ্যোগে শাওনের গায়েবানা জানাজায় তিনি এসব কথা বলেন।

জানাজায় ইমামতি করেন দক্ষিণ জেলা ওলামা দলের যুগ্ম আহবায়ক মাওলানা আবদুল করিম।

ডা. শাহাদাত বলেন, ভোলায় আবদুর রহিম, নুরে আলম, নারায়ণগঞ্জে শাওন ও মুন্সিগঞ্জের শাওনের রক্তদানের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে, এ দেশের মানুষ ফ্যাসিবাদী সরকারের দমন নিপীড়নকে ভয় করে না। রক্ত দিয়ে, জীবন দিয়ে হলেও তারা এ দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করবে।

এতে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, আন্দোলন দমাতে নিষ্ঠুরতার পথ বেছে নিয়েছে সরকার। শান্তিপূর্ণ সমাবেশের ওপর পুলিশি হামলা ও গুলিবর্ষণের ঘটনার মধ্য দিয়ে সরকারের ফ্যাসিবাদী চরিত্র ফুটে উঠেছে। জনগণের দাবিতে এই বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। এটা সরকারের পরিবর্তনের কোনো আন্দোলন বা কর্মসূচি ছিল না। সেটাকেই তারা সহ্য করতে পারছে না। সেখানে তারা বিনা উসকানিতে গুলি করেছে, আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে হত্যা করেছে।

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র আহবায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা, আবারো বিনা ভোটে সরকার গঠন করা এবং জনগণের ন্যায্য দাবিগুলো পদদলিত করার লক্ষেই মুন্সিগঞ্জের সমাবেশে হামলা করা হয়েছে। ভোলা, নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জে হত্যার ঘটনা সরকারের ধারাবাহিক নিপীড়ন নির্যাতনেরই অংশ।

চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তীর পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র আহবায়ক আবু সুফিয়ান, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক এস এম সাইফুল আলম, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, মন্জুর আলম চৌধুরী মন্জু, থানা বিএনপি’র সভাপতি মন্জুর রহমান চৌধুরী, এম আই চৌধুরী মামুন, সাধারণ সম্পাদক নূর হোসাইন, মহানগর বিএনপি নেতা এড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, ডা. এস এম সারোয়ার আলম, ইব্রাহিম বাচ্চু, আবদুল বাতেন, ইদ্রিস আলী, ইউনুস চৌধুরী হাকিম, মহানগর যুবদলের সহ সভাপতি এম এ রাজ্জাক, ইকবাল হেসেন সংগ্রাম, ফজলুল হক সুমন, আবদুল গফুর বাবুল, মিয়া মোহাম্মদ হারুন, মো. ইলিয়াস, শাহাবুদ্দীন হাসান বাবু, হায়দার আলী চৌধুরী, নাসির উদ্দিন চৌধুরী নাসিম, সি. যুগ্ন সম্পাদক মোশাররফ হোসাইন, যুগ্ম সম্পাদক ইকবাল পারভেজ, সেলিম উদ্দিন রাসেল, তৌহিদুল ইসলাম রাসেল, ইদ্রিস আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশা, মহানগর তাঁতীদলের আহবায়ক মনিরুজ্জামান টিটু, সদস্য সচিব মনিরুজ্জামান মুরাদ, মৎস্যজীবী দলের আহবায়ক নুরুল হক, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হাজী নবাব খান, জানে আলম জিকু, খাজা আলাউদ্দিন, সাইফুল আলম, ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক এম এ হালিম বাবলু, হাজী এমরান উদ্দিন, আবু সাঈদ হারুন, হাজী আবু ফয়েজ, জসিম মিয়া, হাজী মো. জাহেদ, ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক সামিয়াত আমিন জিসান, আরিফুল ইসলাম মিটু প্রমুখ।