অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

“ভাই হত্যার প্রতিশোধ নিতেই যুবলীগ কর্মী আকাশকে হত্যা করে মামুন”

0
.

ভাইকে হত্যার প্রতিশোধ নিতেই চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে যুবলীগ কর্মী শহিদুল ইসলাম আকাশ (২৮)কে পরিকল্পিতভাবে হত্যার কথা স্বীকার করেছে র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া আসামী মোহাম্মদ মামুন।

এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত ৩ আসামীকে গ্রেপ্তারের পর আজ রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামের চান্দগাঁও কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এম এ ইউসুফ।

এর আগে শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে যুবলীগ কর্মী শহিদুল ইসলাম আকাশ প্রধান আসামি মামুনকে চট্টগ্রাম শহরের পাহাড়তলী থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। অন্য দু’জন মুকেশ চন্দ্র দাশ ও মো: ইকবালকে চাঁদপুর জেলার পুরান বাজার হতে রাত ৮টার দিকে গ্রেফতার করা হয়।

র‌্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এম এ ইউসুফ বলেন, গত ১৯ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ থানার চিনকিরহাট বাজারে নিজ ফার্নিচার দোকানের সামনে যুবলীগ কর্মী মো. শহিদুল ইসলাম আকাশকে মো. মামুন ও তার সহযোগীরা কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এ সময় তার বাবা ছেলেকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে আসামি মামুন তাকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় ভিকটিম শহিদুলের বোন বাদী হয়ে গত ২১ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের জোরারগঞ্জ থানায় ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৭-৮ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এ হত্যার কারণ জানতে গিয়ে আসামী মামুন জানায়, ২০১৯ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ব্যবাসায়িক দ্বন্দ্ব ও রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মামুনের ছোট ভাই আফজাল হোসেনকে আকাশ কুপিয়ে হত্যা করে। তখন মামুন ও তার ভাই ইকবাল নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের মামলায় জেল হাজতে ছিলেন। মামুন গত ১৩ সেপ্টেম্বর জামিনে মুক্তি পান। মুক্তি পেয়ে মামুন তার ভাইয়ের হত্যার প্রতিশোধ নেয়ার জন্য তার সহযোগী মোতালেব, রাজু, নেজাম, হামিদ ও মুকেশসহ হত্যার পরিকল্পনা করেন। সে অনুযায়ী গত ১৯ সেপ্টেম্বর জামিনে মুক্তি পাওয়ার পাঁচ দিনের মাথায় যুবলীগ কর্মী আকাশকে কুপিয়ে হত্যা করেন। মূলত ভাইয়ের হত্যার প্রতিশোধ নিতে জামিনে বের হয়ে হিঙ্গুলী ইউনিয়ন যুবলীগ কর্মী শহীদুল ইসলাম আকাশকে কুপিয়ে খুন করা হয়।

যুবলীগ কর্মী আকাশ হত্যার ঘটনায় নিহতের বোন নাজমা আক্তার ২১ সেপ্টেম্বর জোরারগঞ্জ থানায় ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো আটজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। এর আগে এই মামলার পাঁচ নম্বর আসামি হিঙ্গুলী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মিজানুর রহমানকে গ্রেফতার করে জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ।