অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

চবিতে শুরু হয়েছে প্রতিকী জাতিসংঘ সংস্থা’র ৪ দিনব্যাপী সম্মেলন

0
.

জাতিসংঘ অনুকরণে প্রতীকী জাতিসংঘ সংস্থার (সিইউমুনা) আয়োজনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩য় বারের মতো “সন্ত্রাসমুক্ত পৃথিবী গড়তে দীক্ষিত তরুণ সমাজ” শীর্ষক ৪ দিনব্যাপী সম্মেলন শুরু হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) বিকাল ৩টায় ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের সম্মেলন কক্ষে প্রধান অতিথি হিসেবে এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন চবি উপাচার্য ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী।

অনুষ্ঠানটি জাতিসংঘের আদলে মোট আটটি কমিটিতে ভাগ করা হয়েছে। কমিটিগুলো হলো- জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ, এশিয় উন্নয়ন ব্যাংক, যুক্তরাষ্ট্রীয় জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ, জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদ, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি, ইউএন ওমেন, ইউএন জিএ ফাস্ট কমিটি ডাইসেক এবং ইন্টারন্যাশনাল প্রেস।

সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেন- আজকের তরুণ সমাজ আগামীদিনের আশা-আকাংখার প্রতীক। ধর্মান্ধতার অন্ধকার থেকে বেরিয়ে এসে তরুণ সমাজকে আলোর পথের দিশারী হয়ে বিশ্বব্যাপি ছড়িয়ে দিতে হবে মানবতার জয়গান। তাই বিশ্বব্যাপী ধর্মের নামে জঙ্গী-সন্ত্রাস প্রতিরোধে চাই আধুনিক চিন্তা-চেতনায় সমৃদ্ধ দূরদর্শী কুটনৈতিক নেতৃত্ব। প্রতীকী জাতিসংঘ অধিবেশনে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে অংশগ্রহণকারী মেধাবী তরুণ শিক্ষার্থীরা বৈশ্বিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি যেমন বিতর্ক, আলোচনা, সমালোচনা ও সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর মাধ্যমে সম্মেলনে সহনশীলতা, প্রজ্ঞা ও দক্ষ নেতৃত্বের গুণাবলী অর্জন করতে সক্ষম হবে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চ.বি. সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. ফরিদ উদ্দিন আহামেদ, রসায়ন বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. মনির উদ্দিন, ওয়েল গ্রুপের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম, জাতিসংঘ যুব ও তরুণ সংস্থা বাংলাদেশ শাখার সভাপতি মো. মামুন মিয়া ও সিইউমুন-এর সভাপতি ইজাজ মাহমুদ।

প্রতীকী জাতিসংঘ সংস্থার (সিইউমুনা) এবারের সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের ৪০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৪০০ জন প্রতিনিধি যোগ দিয়েছে। সম্মেলনে আটটি কমিটির আদলে বিশ্বব্যাপী চলমান সংকটগুলো নিয়ে, আলোচনা, সমলোচনা, বির্তক, ভোটাভুটি মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য, প্রস্তাবনা সমূহ একত্রিত করে জাতিসংঘ ঢাকা অফিসের মাধ্যমে জাতিসংঘ মহাসচিব ও বিভিন্ন দেশের গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরগুলোতে পাঠানো হবে। এছাড়াও এবারের সম্মেলনের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে ”ইন্টারন্যাশনাল প্রেস” কে অন্তর্ভূক্ত করায় সম্মেলনের যোগ দেওয়া প্রতিনিধিরা বিশ্বব্যাপী পরিচিত গনমাধ্যমগুলোতে কাজ করার সুযোগ পাবে।